আজকের ব্যস্ত জীবনে, মানসিক চাপ মানুষের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি একটি অবাঞ্ছিত অতিথি যা সকল বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করে। কাজের চাপ, আর্থিক উদ্বেগ, অথবা সম্পর্কের সমস্যা; মানসিক চাপের পিছনে যেকোনো কারণ থাকতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হলো, অতিরিক্ত চাপ একজন ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উভয়েরই ক্ষতি করে। যদি আপনিও আজকাল জীবনে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেন, তাহলে আপনার মনকে শান্ত করার জন্য এই ৩টি ব্যায়াম আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন। এই ৩টি ব্যায়াম আপনার মনকে শান্ত করার এবং স্বাভাবিকভাবেই চাপ কমানোর একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়।
মন শান্ত করার জন্য ৩টি ব্যায়াম
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে, প্রথমে একটি শান্ত জায়গায় বসুন এবং চোখ বন্ধ করুন। এরপর, নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ডের জন্য গভীর শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন, এবং তারপর ৬ সেকেন্ডের মধ্যে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এইভাবে, এই অনুশীলনটি ৫-১০ বার পুনরাবৃত্তি করুন। গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শান্ত করে। সকালে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা উচিত।
যোগ নিদ্রা
যোগ নিদ্রা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়। এটি এক ধরণের যোগব্যায়াম যা ধ্যান এবং শিথিলকরণকে একত্রিত করে। নিয়মিত যোগ নিদ্রা অনুশীলন মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি করার জন্য, প্রথমে শবাসনে আরাম করে শুয়ে পড়ুন। এরপর চোখ বন্ধ করে শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন। ধীরে ধীরে আপনার শরীরের বিভিন্ন অংশের উপর মনোযোগ দিন এবং তাদের শিথিল করুন। যোগ নিদ্রা উদ্বেগ এবং অনিদ্রা কমায়।
স্ট্রেচিং
স্ট্রেচিং সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, একটি হরমোন যা মেজাজ উন্নত করতে, চাপ কমাতে এবং বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। স্ট্রেচিং শুরু করার আগে, ৫ থেকে ১০ মিনিট হালকা কাজ করুন, যেমন জগিং বা হাঁটা। ধীরে ধীরে আপনার ঘাড় ঘোরান অথবা আপনার কাঁধ উপরে এবং নীচে নামান। প্রতিটি স্ট্রেচ ১৫-২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন। এটি শারীরিক চাপ কমিয়ে মনকে শিথিল করে। এটি সকালে অথবা অফিসের বিরতির সময়ও করা যেতে পারে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।