কেন এই ভয়ানক বন্যা বেঙ্গা൩লুরুতে? এই প্রশ্নের সহজ উত্তর একটিই— অভূতপূর্ব বৃষ্টিপা♐ত।
বিংশ শতকের শুরু থেকে হিসাব করলে ৯৯.৯ শতাংশ দিনের তুলনায়🥂 সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই শহরে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে এবং ১৯০১ সালের পর থেকে সবচেয়ে চরমও হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, বেঙ্গালুরু এবং বেঙ্গালুরু গ্রামীণ জেলায় ১ জুন থেকে ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮.৩০ পর্যন্ত ৭৪৭.৯ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য অনুসারে। এটি ১৯০১ সাল থেকে এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত এবং ১৯৬১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গড় বৃষ্টিপাতের ২.৮ গুণ। ৫ সেপ্﷽টেম্বরের তথ্য যোগ করার পর (সকাল সাড়ে ৮ট༺া পর্যন্ত), এটি ১৯৬১ থেকে ২০১০ সালের গড়ের তিনগুণ হয়ে যায়। ১৯৬১ থেকে ২০১০ সালের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পুরো বর্ষাকালের গড় বৃষ্টিপাত মাত্র ৪০৮.২ মিমি। এটি দেখে বোঝা যায় যে বর্তমানে বর্ষাকাল শহরের জন্য কতটা বৃহৎ আকার ধারণ করেছে।
এমনকী এই বর্ষা মরশুমে নজিরবিহীন বৃষ্টির কারণেও বন্যা হত না, যদি ১ জুন থেকে ৯৭ দিনে সমানভাবে বৃষ্টিপাত হতো। এমনটা হয়নি। এই বর্ষার ৭৯ দিনের মধ্যে ১৭ দিনে বৃষ্টি হয়েছে, অন্তত বেঙ্গালুরুর কিছু অংশে ৩৫.৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে (এটি ভারতীয় আবহাওয়া অফিস দ্বারা ভারী বৃষ্টি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে)। এই বর্ষার অর্ধেক (৫০.৫%) বৃষ্টি এই ভা🌺রী ধরনের হয়েছে, যখন ১৯৬১ থেকে ২০১০ সালের সময়কালে এই ধরনের বৃষ্টিপাত ছিল মাত্র ২১%। নিখুঁতভাবে, এই মরশুমে ৪০৭.৬ মিমি ভারী বৃষ্টি হয়েছে, যা ১৯৬১ থেকে ২০১০ সালের সময়ের মধ্যౠে হওয়া ৫৬.৮ মিমি ভারী বৃষ্টিপাতের সাত গুণ বেশি। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় যানবাহন ভেসে যাওয়ার আগের দিন ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় শেষ হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের সময় ছিল ২৪ ঘণ্টারও বেশি।
কিন্তু আসল কথা হল যে, এটির ভবিষ্যদ্বাণী ছিলই। ২০১১ থেকে ২০২০ দশকে গড় বৃষ্টিপাত ১৯০১ থেকে ১৯১০ দশকের তুলনায় দ্বিগুূ ছিল। এমনকী ২০১১ থেকে ২০২০-র দশকে ভারী তীব্র বৃষ্টির পরিমাণ ꦿ১৯২১ থেকে ১৯৩০ সালের সব দশকের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
স্পষ্টতই, গত কয়েক দিনের ঘটনা, এবং শহরের এই বর্ষাকালেও একটি প্রবণতার অং🎃শ, যা সম্ভবত জলবায়ু সংকটের ফল। তার মানে শহর প্রস্তুত করা উচিত ছিল।
বেঙ্গালুরুর জন্য এই পরিসংখ্যান দে꧅খে দেশের অন্যান্য মেট্রোগুলির সাবধান হওয়া উচিত। কারণ তারা সকলেই একই রকম পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। এমনটাই বলছেন বিশেষ🐟জ্ঞরা।