সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে তুমুল আন্দোলন হয়েছিল বাংলাদেশে। ক্রমেই সেই ছাত্র আন্দোলন গণ অভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছিল। আন্দোলনকে প্রতিহত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বর্তমানে দেশটিতে ক্ষমতায় রয়েছে অন্তর্ভুক্তি সরকার।𓆉 তবে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পরেও বাংলাদেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কমপক্ষে ৮ জন বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এই রিপোর্টে ৯ অগস্ট থেকে ৩০ সেপꦰ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় নিযুক্ত মানবাধিকার কর্মীদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: ভারতের💞 ভিসা না পেয়ে কেন হঠাৎ পা🔯কিস্তানে যাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি?
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই🔯 ৮ জনের মধ্যে একজন পুলিশি নির্যাতন, আরেক জন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হাতে নির্যাতনের কারণে এবং তিনজনকে যৌথ বাহিনীর হাতে নির্যাতনের কারণে মারা গিয়েছেন। এছাড়াও যৌথ বাহিনীর গুলিতে তিন জন নিহত হয়েছেন। উল্লেখ্য, এই সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ৯ অগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তাল পরিস্থিতিܫতে দেশে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত এবং ১৩০৮ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মোট ৬৭ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত ৩৬ জন এবং ৯ অগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩১ জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যদিও এই সময়ের মধ্যে অপহরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
এই প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের উপরে হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ৯ অগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। দুজন লাঞ্ছিত হয়েছেন এবং তিন জনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পরিসংখ্যানের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৫ অগস্ট পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানের ফলে শিশুসহ ১,৫৮১ জন নিহত এবং ১৮,০০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন🦹।