পণের দাবি ঘিরে উত্তরপ্রদেশে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা হতবাক করে দেওয়ার মতো। দাবি মতো পণ না দেওয়ায় গৃহবধূর শরীরে এইচআইভি সংক্রামিত সূচ দিয়ে ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে। এই ঘটনায় আদালত ৩১ বছর বয়সি ওই মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ মহিলার স্বামী, শাশুড়ি-সহ চারজনের বিরুܫদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: পণের দা🐼বি না মেটায় স্ত্রীকে খুন করল স্বামী,✨ বাপেরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে অত্যাচার
সাহারানপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন জানান, নির্যাতিতা সাহারানপুরের বাসিন্দা। তাঁর শ্বশুরবাড়ির ৪ ꦑজনের বিরুদ্ধ𝓀ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৪৯৮এ (স্বামী বা তার আত্মীয়দের মাধ্যমে মহিলার উপর অত্যাচার), ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা), ৩২৮ (বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষতি করা), ৪০৬ (বিশ্বাসের অপরাধমূলক ভঙ্গ করা) এবং পণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারায় গাঙ্গোহ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ, পণ হিসেবে অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা এবং একটি বড় এসইউভি গাড়ি দাবি করেছিল মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৪ সালের মে মাসে। নিরꦉ্যাতিতা মহিলার শ্বশুরবাড়ি হরিদ্বারে। মহিলার বাবা আদালতে জানিয়েছেন, তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়েতে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। বরের পরিবারকে একটি সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও তারা অতিরিক্ত ১০ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি বড় এসইউভি দাবি করেছিল। আর এই দাবিতে বিয়ের পর দিন থেকেই তাঁর মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হয়। তারা তাঁরা হয়রানি শুরু করে। অপমান করার পাশাপাশি দ্বিতীয় বিয়ের হুমকি দেয় তাঁর স্বামী।
অভিযোগ, এরপর ২০২৩ সালের মার্চে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি বাড়ি থেকে বের করে দে♐ওয়া হয়। পরে তিন মাস ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত হস্তক্ষেপ না করা পর্যন্ত তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। এরপর, তিনি স্বামীর বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু, তারপর আবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ।
আর এরপর ২০২৪ সালের মে মাসে মহিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জোর করে তাঁর শরীরে এইচআইভি সংক্রামিত সিরিঞ্জ দিয়ে ইঞ্জেকশন দেয় বলে অভিযোগ। ফলে তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হয়। পরে ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁর এইচআইভি পজিটিভ আসে। অন্যদিকে, তাঁর স্বামী এইচআইভি নꦏেগেটিভ বলে দাবি করেন মেয়ের বাবা। তিনি আরও দাবি করেছেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি। তাই শেষ পর্যন্ত ফ্যামিলি কোর্টের দ্বারস্থ হন।