ফের এক হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার বাংলাদেশে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সনাতনী জাগরণ ঐক্য জোটের নেতা তথা ট্টগ্রামের হাটাজারির গৌরাঙ্গ বাড়ির অধ্যক্ষ সন্ত মহারাজ স্বরূপ দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, কোন অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি বলে জানানো হয়েছে সেই রিপোর্টে। (আরও পড়ুন: 'ইসকনকে তাড়ানো হাতের ময়লা'𝄹, বললেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলোন নেতা সারজিস আলম)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে 'ভুয়ো ভিডিয়ো' পো❀স্ট শুভেন্দু অধিকারীর!
এর আগে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তাঁর গ্রেফতারির পর থেকে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন বর্তমানে 'বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের' ব্যানারে আন্দোলন করছে। সেই জোটের মুখপাত্র করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুও। সেই সমাবেশেই নাকি তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছিলেন। এই অভিযোগেই চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। গত ৩১ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সেই নেতা। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর নামে এবার শিশু ধর্ষণের ভুয়ো অভ𒁃িযো🧸গ বাংলাদেশে, ভাইরাল 'ভিডিয়ো')
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীব🌟ী খুনে ধৃত ৭ হিন্দু, হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার আরও ২০: রিপোর্ট
সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে༒ গ্রেফতার করে ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। এরপর তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে অভিযোগ, চিন্ময় প্রভ♋ুকে কারাগারে ওষুধ দিতে দেওয়া হয়নি পুলিশের তরফে। ধৃত হিন্দু নেতাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে হেনস্থা করার অভিযোগও উঠেছে। এদিকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের ঘটনার জেরে বাংলাদেশে সংখ্য়ালঘুদের মধ্য়ে শোরগোল পড়ে যায়। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ এই গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে। এদিকে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমেছেন কয়েক হাজার হিন্দু। এরই মধ্যে প্রতিবাদী বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে বাইরে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকে জড়ো হয়েছিলেন চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানাতে। সেই জনতার ওপর নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ ক🧜রেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এই সংঘর্ষে এক আইনজীবী খুন হন। এদিকে বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্যাসীকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৬। সেদিন সংঘর্ষে এক আইনজীবী নিহত হন বলেও দাবি করা হয়।