তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন সরকারের সর্বোচ্চ আইন অফিসার অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল। তবুও নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না কমেডিয়ান কুণাল কামরা। শুক্রবার বিবৃতি দিয়ে কুণাল জানালেন যে অর্ণব গোস্বামীকে বেল দেওয়ার পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে যা বলেছেন, তার থেকে পিছু হটবেন না তিনি। ক্ষমা চাইবেন না তাঁর বিতর্কিত টুইটগুলির জন্য। প্রসঙ্গত, অর্ণবকে বেল দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রসঙ্গ উঠেছিল। সেই কথার সূত্র ধরে নিজের চিঠিতে কুণাল কামরা বলেছেন যে অন্যদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে নিশ্চুপ, সেটার সমালোচনা হবেই। তিনি থামবেন না ও কোনও ক্ষমা চাইবেন না। তাঁর বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা না করে বরং ডিমোনিটাইজেসন, ৩৭০ ধারা বিলোপ, ইলেকটরাল বন্ড প্রভৃতি বিষয় সুপ্রিম কোর্ট সময় দিক বলে আবেদন করেছেন কুনাল কামরা। বৃহস্পতিবার কুনালের টুইটকে নিম্মরুচির বলে অ্যাখ্যা দিয়ে ক্রিমিনাল কনটেম্পট মামলা চালানোর অনুমতি দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। বেনুগোপাল বলেন যে সমালোচনা করাই যায় কিন্তু শালীনতা অতিক্রম করলে চলবে না। এটি কৌতুক নয়, এটি আদালতের অবমাননা, বলে জানান তিনি। যেভাবে কুনাল কামরা সুপ্রিম কোর্টের ছবি ফোটোশপ করে কমলা রংয়ের করেছিলেন ও জাতীয় পতাকার জায়গায় বিজেপির পতাকা ব্যবহার করেছিলেন, সেটি আদালত অবমাননার সামিল বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে এভাবে আদালতকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করা যায় না। সবমিলিয়ে মোট আটজনকে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বেনুগোপাল। প্রসঙ্গত, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় এক সপ্তাহের বেশি জেলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে জামিন পান রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামী। কুণাল কামরা সহ অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে বহু সাংবাদিক, পড়ুয়া ও সমাজকর্মী বিভিন্ন মামলায় জেলে আছে, শুনানিও হয়নি। তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষা করতে আদালত কেন সচেষ্ট নয়, সেই প্রশ্ন করা হয়েছে।