হাসিনা বিদায়ের পর মঙ্গলবার জুড়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বহু জায়গায় বাড🐭়িতে হামলা 𒁏চালানো হয়েছে। বাগেরহাটে আবার ঘরে ঢুকে স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মন্দিরে মন্দিরে ভাঙচুর চলেছে সেই সোমবার থেকেই। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেদেশের বেশি কিছু ভিডিয়ো। বিক্ষোভকারীদের হিংসার নমুনা প্রতিফলিত হয়েছে সেই সব ভিডিয়োতে। এরই মধ্যে ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় গতকাল থানার সামনে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় হাতকড়া পরানো একাধিক লাশ। এই আবহে এক ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায় মৃতদেহের অন্তর্বাস খুলে বাঁশ দিয়ে যৌনাঙ্গ 'পরীক্ষা' করছে বিক্ষোভকারীরা। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে তাতে দেখা যায়, মৃত ব্যক্তি হিন্দু কি মুসলিম তাই দেখা হয় সেভাবে।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, গলা কাটা অবস্থায় একটি মৃতদেহ রাস্তায় পড়ে আছে। সেই মৃতদেহের হাতে হাতকড়া লাগানো। পরনে শুধুমাত্র একটি গেঞ্জি এবং অন্তর্বাস। প্যান্ট নেই। গোড়ালি থেকে পা বাঁধা। সেই মৃতদেহে বাঁশ দিয়ে মেরে কয়েকজনকে বলতে শোনা গেল, 'মারা গেছে'। এরপর এক বিক্ষোভকারী অভিযোগ করে, পূর্বতন হাসিনার সরকার নাকি ভারত থে𒁃কে নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে এসে হামলা করিয়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। এরপর এক বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা যায়, মৃত ব্যক্তি বিজিবি কর্মী। এপরই সেই মৃতদেহ উলঙ্গ করে বাঁশ দিয়ে যৌনাঙ্গ তুলে ধরে বিক্ষোভকরারী বলতে থাকে, 'স🐓ব হিন্দু, এরা সব হিন্দু।'
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশ জুড়ে। বহু থানা পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়েছে। বহু পুলিশ, ব়্যাব এবং সেনা সদস্যদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বহু আওয়ামি লিগ নেতাকেও পিটিয়ে খুন করেছে বিক্ষোভকারীরা। অনেককে মেরে উলটো করে ঝুলিয়ে রাখ দেখা গিয়েছে। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে গতকাল পুলিশ, বিজিবি নিরাপত্তাক্ষী কর্মীদের একাধিক মৃতদেহ এসেছে। এদিকে ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আরও ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির♑া সবাই পুলিশ সদস্য কি না, তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে শুধুমাত্র এই একটি ঘটনাতেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভের আবহে ঢাকা সব বাংলাদেশের বিভিন্ন থানা পুলিশশূন্য। নিরাপত্তার দাবিতে পুলিশরা সরব হয়েছেন। এই আবহে অনেক জায়গায় ট্রাফিক নিন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্র-যুবদেরই। তবে এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি কবে শান্ত হবে, তা জানা নেই কারও।