আসন্ন বিহার ভোটের আসন সমঝোতা ঘোষণা করল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী কে কটা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে সেটা বলেন। একই সঙ্গে সদ্য জোট ছাড়া এলজেপি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন নেতারা। নীতিশ কুমার বলেন ১২২টি আসনে তারা লড়বেন। নিজেদের কোটা থেকে সাতটি আসন দেওয়া হবে জিতেন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চাকে। অন্যদিকে বিজেপি ১২১টি আসন পেয়েছে। তাদের কোটা থেকে আসন দেওয়া হবে সদ্য গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্স থেকে বেরিয়ে আসা বিকাশশীল ইনসান পার্টিকে। এদিন নীতিশ কুমারের বাসস্থানে চূড়ান্ত বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন দেবেন্দ্র ফডনবীশ, সুশীল মোদী, ভূপেন্দ্র যাদব। তিন দফায় ভোট হবে বিহারে। গণনা হবে ১০ নভেম্বর। কয়েকদিনের মধ্যেই কোন দল কোন আসন থেকে লড়বে, সেই ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে জানান নীতিশ কুমার। প্রসঙ্গত, এনডিএ শরিক এলজেপি এবার ঠিক করেছে তারা জেডিইউ-র বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে। এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ানের দাবি যে ভোটের পর বিজেপি-এলজেপি সরকার আসবে। চিরাগের বাবা রামবিলাস পাসওয়ান বর্তমানে অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। এদিন তাঁর প্রসঙ্গ উত্থাপন করে নীতিশ কুমার বলেন যে রামবিলাসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন যে বিজেপি-জেডিইউ সাহায্য না করলে, তাঁর সংসদে যাওয়া হত না। বিজেপির তরফ থেকে সুশীল মোদী বলেন যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাসওয়ান সুস্থ থাকলে এই সমস্যা হত না। তিনি বলেন অনেকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু এটা জেনে রাখা ভালো যে বিহারে এনডিএ-র নেতা নীতিশ কুমার, তিনিই মুখ্যমন্ত্রী আছেন ও থাকবেন। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপি নেতা বলেছেন যে এলজেপিকে মানা করা হয়েছে মোদীর ছবি ব্যবহার করতে ভোটের প্রচারে। তাঁরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা। প্রসঙ্গত, অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে বিজেপির উস্কানিতেই বিদ্রোহ করেছেন চিরাগ পাসওয়ান যাতে জেডিইউ-র হাত দুর্বল হয় ও বিজেপির কোনও নেতা মসনদে বসতে পারেন। গেরুয়া শিবির যদিও সরাসরি এই তত্ব উড়িয়ে দিচ্ছে ও প্রয়োজনে এলজেপি-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে হাত ছাড়লেও কেন্দ্রে এলজেপি এখনও শরিক ও অসুস্থ রামবিলাস পাসওয়ান মন্ত্রিসভার সদস্য। গত বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ-আরজেডি ও কংগ্রেস একজোটে লড়েছিল। অন্যদিকে ছিল বিজেপি, এলজেপি ও অন্যান্য ছোটো শরিক। আরজেডি (৮০) ও জেডিইউ (৭১) আসন পেলেও মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী হন নীতিশ। তবে দুই বছরের মধ্যে নীতিশ ফের এনডিএ-তে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে।