আদিত্য নাথ ঝাঁবিহারের বাঁকা জেলাতে একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে ১৫-২০জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা পরিচালনার কাজে নিয়োজিত এক ম্যাজিস্ট্রেটকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যার ঘটনা। এই ঘটনায় তিনি আহত হয়েছেন।পুলিশ সূত্রে খবর, ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার হিসাবে কর্মরত ওই আধিকারিক। তার নাম পঙ্কজ জয়সওয়াল। বাঁকা জেলার অমরপুর ব্লকে তিনি কর্মরত। হরিহর চৌধুরী হাইস্কুলে তিনি নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন।তার চোখে মারাত্মক আঘাত লাগে। তাকে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কেন আমাকে মারল সেটা বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে আমার দৃষ্টিশক্তি চলে যাবে। আমি সততার সঙ্গে আমার কর্তব্য পালন করছিলাম। কিন্তু ওরা কিছুই শুনল না।পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় সবে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় কয়েকজন পরীক্ষার্থী লাঠি, লোহার রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের হামলায় তিনি আহত হয়েছেন।পুলিশ জানিয়েছে, কোনওরকমে জয়সওয়াল অ্য়াম্বুল্যান্সে ফোন করেন। এরপর প্রথমে তাকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ভাগলপুরে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। কেন এভাবে মারধর করা হল তা দেখা হচ্ছে। কারা এর পেছনে ছিল সেটাও দেখা হচ্ছে।পুলিশ জানিয়েছে,জয়পুর কাটোরিয়া হাইস্কুলের পড়ুয়ারা এই মারধরের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে পরীক্ষার্থীদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে তবে কি টুকে পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ছাত্ররা? কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের কড়া নজরদারিতে তা সম্ভব হয়নি? তার জেরে এমন প্রাণঘাতী হামলা?তবে পুলিশ এনিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা দেখা হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্য়েই স্থানীয় এলাকায় তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পেছনে আসল কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় ফের বিহারের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবিও উঠতে শুরু করেছে।