ফের বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নীতিশ কুমার। কিন্তু কম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেও বেশি আসন জিতবে জেডিইউ-র জোট শরিক বিজেপি। এটিই নির্যাস বেরিয়ে এসেছে টাইমস নাও- সি ভোটার জনসমীক্ষা থেকে। চলতি মাসের ২৮ তারিখ প্রথম দফার ভোট। মোট তিন দফায় ভোট হবে ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায়। ১০ নভেম্বর ভোটগণনা। করোনা কালে নির্বাচন, তাই ভোট প্রচার এখনও তুঙ্গে ওঠেনি। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই এই মুহূর্তে এগিয়ে এনডিএ, যদি এই সমীক্ষা সঠিক হয়। সমীক্ষা বলছে যে এনডিএ পাবে ১৬০ আসন। বিরোধী মহাগঠবন্ধন পাবে ৭৬, এলজিপি পাবে ৫টি আসন ও অন্যান্য়রা দুটি আসন পাবে। এনডিএ-র মধ্যে বিজেপি পাবে ৮৫, জেডিইউ ৭০ ও অন্যান্য ছোটো শরিকরা ৫ টি আসন। প্রসঙ্গত, জেডিইউ ১১৫টি ও বিজেপি ১১০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে। এই সমীক্ষা মোটের ওপর সঠিক হলে বিজেপির জয়ের স্ট্রাইক রেট সংযুক্ত জনতা দলের চেয়ে অনেকটাই বেশি হবে। সেটি নিশ্চিত ভাবেই ভবিষ্যতের জন্য নীতিশ কুমারের ওপর চাপ বাড়াবে। বিজেপি যদিও বারবার বলেছে যে বিহারে এনডিএ-র নেতা নীতিশ কুমার। এই নিয়ে কোনও বিতর্ক নেই। কিন্তু ক্রমশই আসন সমঝোতায় নিজেদের গুরুত্ব বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে জোট ছেড়ে তেমন কোনও দাগ কাটতে পারছে না চিরাগ পাসওয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি। আদৌ এনডিএ জোট ছাড়া যুক্তিযুক্ত ছিল কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে যদি এলজেপি মাত্র পাঁচটি আসন পায়। তবে রামবিলাস পাসওয়ানের মৃত্যুর সহানুভুতি ফ্যাক্টর এলজেপি-র পক্ষে কাজ করে কিনা, সেটা ইভিএম খুললে বোঝা যাবে। মহাগঠবন্ধনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় জনতা দল জিতছে ৫৬টি আসন, কংগ্রেস ১৫টি আসন ও বামপন্থীরা পাঁচটি আসন। পাঁচ বছর আগেও আরজেডি বৃহত্তম দল ছিল বিহারে। কিন্তু নীতিশ কুমার এনডিএতে ফেরার পর ক্রমশই শক্তিক্ষয় হয়েছে তেজস্বী যাদবের দলের। লোকসভায় ভরাডুবির পর এবার বিধানসভাতেও সেই ট্রেন্ড বজায় থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত। দীর্ঘদিন ধরে লালু প্রসাদ যাদব জেল হাসপাতালে। তাঁর অনুপস্থিতিতে দলের হাল ধরেছেন ছেলে তেজস্বী। কিন্তু এনডিএ যদি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই তেজস্বীর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে আরজেডি-র অন্দরমহলে।