বিহারে নির্বাচনী প্রচারে এসেই বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য ও জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে আরজেডি ও কংগ্রেসকে বিঁধলেন তিনি। তাদের বিরুদ্ধে বিহারের শহীদদের অপমান করার অভিযোগও দাগেন মোদী। করোনাকালে ভোট, তাই আগের মতো ঘুরে ঘুরে প্রচার করার সুযোগ নেই। তবুও প্রথম দফার ভোটের আগে মোদী বিহারে এসেই জমিয়ে দিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের বড় একটি সাফল্য ৩৭০ ধারা বিলোপ করা যার ফলে কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার এখন নিশ্চিহ্ন হয়েছে। কিন্তু তার বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। সেই ইস্যুটিকেই মোদী হাতিয়ার করলেন এমন একটি রাজ্যে যেখান থেকে বহুসংখ্যক মানুষ সেনাবাহিনীতে যান। প্রধানমন্ত্রী বলেন,'সারা দেশ অপেক্ষা করছিল কবে ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত হবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ সরকার। এখন বিরোধীরা বলছে যে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হবে তারা ক্ষমতায় এলে। এদের সাহস দেখুন, এই কথা বলার পর বিহারের জনগণের থেকে আবার ভোট চাইছে'। একই সুরে মোদী তারপর বলেন,'এটা কি বিহারের অপমান নয়, যারা তাদের ছেলে মেয়েদের সীমান্তে পাঠায় দেশ রক্ষার্থে। আমি একটা জিনিস এখান থেকে সাফ করতে চাই, এই চাষী ও সেনার জমি থেকে যে বিরোধীরা যার সাহায্য চায় নিয়ে নিক, দেশ এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটবে না, ভারত পিছু হটবে না।'তিনি বলেন যে মধ্যসত্ত্বভোগীদের স্বার্থেই কৃষি বিলের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ যে দালালদের হয়ে কথা বলে বিরোধীরা। তিনি বলেন যে রাফালেও এরা দালালদের পক্ষে ছিল, চাষীদের যখন টাকা দেওয়া হয়েছিল তখনও বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছিল।আরজেডির নির্বাচন প্রতীক লণ্ঠনের প্রতি বিদ্রুপ করে মোদী বলেন যে প্রদীপের আলোর সময় গিয়েছে। এখন বিদ্যুতের উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে। রাজ্যকে অসুস্থ করা দলদের মানুষ আর সুযোগ দেবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তবে উন্নতির পথে বিহারকে যে এখন অনেকটা এগোতে হবে, সেটাও মনে করে দেন তিনি। এদিন সাসারামে অনুন্নত ভোজপুর বেল্টে তিনি ভোজপুরীতেও কথা বলেন। অধিকাংশ প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষা যে এনডিএ-র জয়ের কথা বলছে সেটিও তুলে ধরেন তিনি। ২৮ অক্টোবর থেকে তিন দফায় বিহারে ভোট গ্রহণ। গণনা হবে ১০ নভেম্বর। সব মিলিয়ে মোট ১২টি নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।