নীতিশ কুমারের ‘ধন্যবাদ’ জানানোর পর থেকেই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। অবশেষে আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় জেডিইউতে যোগ দিতে চলেছেন বিহার পুলিশের প্রাক্তন ডিজি গুপ্তেশ্বর পান্ডে। যিনি সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলার সৌজন্যে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পেয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের খবর।সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তে পাটনার আইপিএস অফিসার বিনয় তিওয়ারি মুম্বইয়ে পৌঁছানোর পর তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল বৃহন্মুম্বই পুরনিগম। তা নিয়ে পুরনিগমের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বিহারের পুলিশের তৎকালীন প্রধান। একইসঙ্গে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন। এমনকী সুশান্তের বান্ধবী তথা মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করার ‘যোগ্যতা’ নেই রিয়ার।তবে গুপ্তেশ্বর পান্ডের চাকরি জীবনে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। ২০১২ সাালে মুজফ্ফরপুরে ১২ বছরের এক কিশোরীর অপহরণের ঘটনায় পান্ডে-সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার বাবা। সেই সময় তিরহাট জোনের আইজি ছিলেন পান্ডে। আপাতত সেই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। অনেকের কাছে তিনি আবার ‘রবিন হুড’ হিসেবেও পরিচিত।বিতর্ক যেমন পান্ডের জীবনের সঙ্গী থেকেছে, তেমনই স্বেচ্ছাবসরও তাঁর কাছে নতুন নয়। বরং লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ২০০৯ সালে স্বেচ্ছাবসর নিয়েছিলেন ১৯৮৭ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার। জল্পনা ছড়িয়েছিল, বক্সারের ব্রাক্ষণ ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে পান্ডেকে প্রার্থী করবে বিজেপি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা হয়নি। টিকিট পেতে ব্যর্থ হয়ে স্বেচ্ছাবসরের ন'মাস পর বিতর্কিতভাবে আবারও চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন পান্ডে। নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সরকারের ‘আশীর্বাদ’ থাকায় সেটা সম্ভব হয়েছিল। পরে অবশ্য বিতর্ক থিতিয়ে যায়।তারইমধ্যে গত বছর ৩১ জানুয়ারি পান্ডেকে বিহার পুলিশের ডিজি। আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর অবসরের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয়বার স্বেচ্ছাবসর নেন। অক্টোবর-নভেম্বর বিহার নির্বাচনের আগে সেই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিতে আসার নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না জানালেও তাঁর ভবিষ্যৎ কার্যত স্পষ্ট ছিল। আর সেই জল্পনাই সত্যি প্রমাণিত হতে চলেছে।জল্পনা ছড়িয়েছে, বক্সার থেকে কোনও বিধানসভা আসনে লড়তে পারেন পান্ডে। কিংবা বাল্মিকীনগর লোকসভা কেন্দ্রেও দাঁড়াতে পারেন। জেডিইউ সাংসদ বৈদ্যনাথ মাহাতোর মৃত্যুর পর থেকে সেই আসনটি ফাঁকা পড়ে আছে।