সবার আগে উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন ও নতুন সংসদ ভবন তৈরির কাজ শেষ হবে। আর সবার শেষে সম্পূর্ণ হবে জাতীয় মিউজিয়াম স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া। যেখানে কর্মী স্থানান্তরিত করা সহজ, তার কাজই আগে সারা হবে। সেন্ট্রাল ভিস্তার বিস্তৃত পরিকল্পনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে মিলল এমনটাই খবর।আগামী ৬ বছর ধরে চলবে কাজ। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে স্থানান্তরিত করা হবে অসংখ্য অফিস। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটা মোটেও সহজ হবে না।এ সংক্রান্ত কিছু নথি পৌঁছেছে হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে। সেই নথি থেকে ও কেন্দ্রের আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সমস্তটাই নতুন অফিসের স্থানান্তরিত করাকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। অর্থাত্ একটি নতুন ভবন যখন তৈরি বা রিনোভেশন করা হচ্ছে, সেখানের কর্মীরা যাতে যতসম্ভব কম সময়ে নতুন স্থানে কাজে যোগ দিতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে শিডিউল। এর মধ্যে সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের ক্ষেত্রে কোনও কর্মী স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হবে না। এটির কাজই সবার আগে শেষ হবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই এর কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন তৈরি হবে রফি মার্গের একটি অংশে। সেথানে বর্তমানে কর্মীদের কোয়ার্টার, ব্যারাক রয়েছে। এরপরেই সেটিতে কাজ শুরু হবে। কারণ সেখানের কর্মীদের স্থানান্তরিত করাটাই সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ হবে।উত্তর ও দক্ষিণ ব্লকে থাকবে কেন্দ্রীয় ভবন, অর্থ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেখানের সবার শেষে কর্মীরা আসবেন। এর কারণ, এগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণ দফতর। নতুন অফিস পুরোপুরি তৈরি হয়ে চালু হয়ে গেলে তখনই সঙ্গে সঙ্গে পুরনো বিল্ডিং থেকে কর্মীদের এখানে নিয়ে আসা হবে।অর্থাত্ ১৩,৫০০ কোটি টাকার এই বিশাল প্রকল্পের মূল শিডিউল সাজানোর পুরোটাই নির্ভর করছে, কোন অফিসের কর্মীদের কতটা দ্রুত স্থানান্তর করা যাবে, তার ভিত্তিতে।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে 'অত্যাবশ্যক' আখ্যা দিয়ে তা বন্ধ করার আর্জি খারিজ করে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারীরা। গত মঙ্গলবার তার শুনানি হয়।দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিমকোর্ট। জনস্বার্থ মামলায় আদালত আবেদন খারিজ করে দেয়। পাশাপাশি আবেদনকারীকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।