একুশের নির্বাচনে বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়েছিল সিপিআইএম। কিন্তু ফলাফল দু’তরফেই শূন্য। এখন কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তারা আলাদা পথ বেছে নিয়েছে। ফলাফল সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতি দেখে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কোন পথে হাঁটে সেটা দেখার বিষয়। কারণ সম্ভাব্য বিরোধী ঐক্যে কংগ্রেস যায় নাকি তাদের পাশে পাওয়া যাবে সেটা আপাতত লাখ টাকার প্রশ্ন। এখন তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে চলেছে, কংগ্রেস তাদের সঙ্গে নেবে তো?এই প্রশ্নের উত্তর সিপিআইএম নেতাদের কাছে অজানা। আর পরিস্থিতি যে দিকেই গড়াক তখন কি করা হবে সেটা নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে দলের পলিটব্যুরো। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াদিল্লির এ কে গোপালন ভবন সূত্রে খবর, আগামী ১৮ এবং ১৯ ডিসেম্বর দু’দিনের পলিটব্যুরো বৈঠকে বসবে দল। জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া হবে কিনা, কংগ্রেস জোটে রাজি হবে কিনা, আবার যদি রাজি না হয় তাহলে কোন পথে হাঁটা হবে তা নিয়েই এই বৈঠক। এখন সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের অবস্থা ভালো নয়। রাজ্যে সিপিআইএমের অবস্থাও শোচনীয়। সেক্ষেত্রে সংগঠনের দিক থেকে দু’জনেই চ্যালেঞ্জের মুখে। যদিও সামান্য হলেও জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের অস্তিত্ব টিমটিম করে জ্বলছে। কিন্তু সিপিআইএমের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। গত ১০ বছরে কংগ্রেস বেশিরভাগ নির্বাচনে হেরেছে। আর সিপিআইএম এখন কেরল ছাড়া কোথাও নেই।উল্লেখ্য, আগের দুই বৈঠকে কংগ্রেস প্রশ্নে আড়াআড়ি বিভক্ত হয় দলের কারাত এবং ইয়েচুরি শিবির। তবে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে এই একই অ্যাজেন্ডায় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসবে দল। তার আগে আগামী সপ্তাহে পলিটব্যুরো বৈঠকে বসে এই ব্যাপারে একটা মীমাংসা করে নিতে চাইছেন সিপিআইএম নেতারা। আগামী এপ্রিল মাসে কেরলে সিপিআইএমের পার্টি কংগ্রেস হবে।