ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপানের দক্ষিণ প্রান্ত। সেখানের কিইউশু দ্বীপে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। জানা গিয়েছে কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.১। বৃহস্পতিবারের অই ভূমিকম্পের 🎐কম্পনের মাত্রা প্রাথমিকভাবে ৬.৯ জানিয়েছিল জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে। পরে তা ৭.১ হয়েছে বলে জানা যায়।
এই ভূমিকম্♒পের জেরে সুনামি সতর্কতা জারি হয়েছে জাপানে। সত🅰র্কতা রয়েছে পশ্চিম মিয়াজাকিতে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার মতে, ভূমিকম্পটি জাপানের দক্ষিণের প্রধান দ্বীপ কিউশুর পূর্ব উপকূলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার গভীরে কেন্দ্রীভূত হয়েছিল। ইতিমধ্যেই জাপানের সরকার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে। এক বিবৃতিকে উল্লেখ করে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি। তবে প্রাথমিকভাবে কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
উল্লেখ্য, টেকটোনিক পাতের বিচারে জাপান ভূমিকম্পের দিক থেকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। সেদেশে ভূমিকম্পের প্রভাব বহু 𝐆মারণ অধ্যায়কে ডেকে এনেছিল। ভূমিকম্প প্রবণতার জের💃ে সেদশে বাড়ি নির্মাণের দিক থেকেও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। যাতে যেকোনও প্রকারের ভূমিকম্প মোকাবিলা করা যায়।
জাপানে প্রায় প্রতি বছর ১৫০০ কম্পন অনুভূত হয় গড়ে। তবে এর ক্ষয়ক্ষতি বা প্রভাব নির্ভর করে, কোন অংশে এই ভ🐲ূমিকম্প হচ্ছে, তার ওপর। ইংরেজি নববর্ষের দিনে, উপদ্বীপে একটি বিশাল ভূমিকম্প আঘাত হানার পর অন্তত ২৬০ জন মারা গিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩০ জনের ভূমিকম্পের জেরে সরাসরি মৃত্যু হয়। ১ জানুয়ারির সেই ভূমিকম্পের জেরে বহু বহুতল কেঁপে ওঠে, তা পড়ে যায়। এমন একটি সময়ে সেই কম্পন ঘটেছিল, যে সময় আশপাশের সকলে উপভোগ করছিলেন নতুন বছরের আনন্দ। সেই সময় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেড়ে নেয় শতাধিক প্রাণ। জাপানের রেকর্ডে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি ছিল জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে মার্চ ২০১১-এ। সেই সময় কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.১। ২০১১ সালের বিপর্যয় ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রে তিনটি চুল্লিকে গলিয়ে দেয়, যা জাপানের যুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয় সৃষ্টি করে।