🐻 আদানি গোষ্ঠী নিয়ে গুগলির মুখে পড়তে হয়েছিল। আর তাতে সপাটে ছক্কা হাঁকালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে প্রশ্ন করা হয় যে গৌতম আদানিকে নিয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা। সেটার প্রেক্ষিতে স্পষ্টভাবে মোদী জানান, 'ব্যক্তিগত বিষয়' নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে মোটেও কথা হয় না। এরকম বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রনেতারা দেখাও করেন না বলে দাবি করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, 'ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের সংস্কৃতি হল বসুন্ধরা কুটুম্বকম (সমগ্র বিশ্ব একটি পরিবার)। আমরা পুরো বিশ্বকে একটা পরিবার হিসেবে বিবেচনা করি। আমি বিশ্বাস করি যে প্রত্যেক ভারতীয় আমার নিজের। কিন্তু এরকম ব্যক্তিগত ব্যাপারের জন্য দু'দেশের রাষ্ট্রনেতা না দেখা করেন, না আলোচনায় বসেন না কথা বলেন।' শেষের কথাগুলো বলার সময় মোদীর অভিব্যক্তিতে কিছুটা বিরক্তিও ধরা পড়ে।
আদানির প্রশ্নের জবাবে কিছু বলেননি ট্রাম্প
ꦡযদিও আদানিকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যিনি দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার কয়েকদিনের মধ্যেই একটি আদেশনামা জারি করে 'ফরেন করাপ্ট প্র্যাকটিসেস অ্যাক্ট' (এফসিপিএ) প্রয়োগ করার স্থগিতাদেশ জারি করেছেন।
🉐 হাফ-সেঞ্চুরি করে ফেলা ওই আইন সংক্রান্ত যাবতীয় অতীত ও বর্তমান কার্যকলাপ পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। আর সেই পদক্ষেপের ফলে আমেরিকায় আদানির বিরুদ্ধে যে কোনও মামলা বা তদন্তে দেরি হতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
কিন্তু আমেরিকায় আদানির বিরুদ্ধে কি অভিযোগ আছে?
🀅মার্কিন আইনজীবীরা আদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় আধিকারিকদের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলারের ঘুষের বন্দোবস্ত করে দেওয়া এবং মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, ভারতের সরকারি আধিকারিকদের লাখ-লাখ টাকার ঘুষ দেওয়ার যে চক্র আছে, সেটার অংশ ছিলেন আদানি। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে আদানি গ্রুপ।
আদালতে হাজির করাতে আদানিকে নাকি প্রত্যর্পণ করতে হবে!
🐟সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আদানি মার্কিন আদালতের সামনে হাজির করানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে হয়তো প্রত্যর্পণের রাস্তায় হাঁটতে হবে। যদিও সেটা হবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় সংশ্লিষ্ট মহল। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।