হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করা হয়নি বলে সাফাই গাইল ইসকন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাಞদক চারুচন্দ্র দাস দাবি করেন যে এখন তাঁদের সংগঠনের সঙ্গে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর কোনও সম্পর্ক নেই। তাই বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র যে বক্তব্য পেশ করেছেন বা তিনি যে কাজ করেছেন, সেটার সম্পূর্ণ দায়ভার তাঁরই। আর সেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দাবি করা হয় যে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠতেই চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর দায় ঝেড়ে ফেলা হল। সেটার প্রেক্ষিতেই কয়েক ঘণ্টা পরে ইসকনের তরফে জানানো দাবি করা হয় যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর দায় ঝেড়ে ফেলা হয়নি। শুধু এটা জানানো হয়েছে যে এখন ইসকনের প্রতিনিধি নন চ🐓িন্ময়কৃষ্ণ প্রভু। যে বিষয়টা গত কয়েক মাস ধরেই জানিয়ে আসা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ইসকন বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটি তথা শিশু সুরক্ষা দলের সদস্য হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস জানান যে গত জুলাইয়েই তাঁকে ইসকন বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক, দাবি ইসকনের
একটি বিজ্ঞপ্তিতে ইসকনের তরফে জানানো হয়েছে, হিন্দু ও তাঁদের ধর্মীয়স্থানকে রক্ষা করার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে যে ডাক দিয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু, সেটা তাঁর অধিকার এবং স্বাধীনতা। আর তাঁর অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন জানানোর থেকে কোনও দূরত্ব তৈরি করেনি ইসকন বা এখনও করছে না। অন্যান্য সব সনাতনী সংগঠনের মতোই ইসকনও বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে। অন⛄্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি হিন্দুরাও যাতে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারেন, সেই আর্জিও জানানো হচ্ছে।
সত্যিটা শুধু জানানো হয়েছে, দাবি ইসকনের
সেইসঙ্গে ইসকনের তরফে বলা হচ্ছে, ‘আমাদের অনেক প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে আমরা যেটা বলছি, শুধুমাত্র সেটা স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে উনি সরকারিভাবে বাংলাদেশকে ইসকনের প্রতিনিধিত্ব কর💟ছেন না।’
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটিশ সাংসদের
তারইমধ্যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে যে হামলার ঘটন🦋া ঘটছে এবং চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে য🍷ে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে, তার তীব্র নিন্দা করেছেন ব্রিটেনের কনভারভেটিভ পার্টির সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার জন্য ওদের হাইকোর্টে যে চেষ্টা করা হয়েছিল, সেটা নিয়েও আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিশ্বজুড়ে অতি অবশ্যই ধর্মীয় স্বাধীনতা বজায় রাখতে হবে।’