‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে পাকিস্তানের তাবড় জঙ্গি ঘাঁটি থেকে সেনার স্ট্র্যাটেজিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ দিয়েছে একাধিক স্যাটেলাইট (উপগ্রহ) ছবি। ভারতীয় সেনার তরফেও রবিবার বিভিন্ন স্যাটেলাইট-মাধ্যম ছবি তুলে ধরে দেখানো হয়েছে কীভাবে ধূলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের একাধিক জায়গা। এদিকে, ভারত ও পাকিস্তানের এই সশস্ত্র সংঘাত পর্বের মাঝে রবিবার আরও এক তথ্য প্রদান করেছেন ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রধান ভি নারায়ণ।
২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে গত কয়েকদিন সশস্ত্র সংঘাত পর্বে প্রযুক্তি একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় প্রযুক্তি বিজ্ঞান, নতুন নতুন অধ্যায় তুলে ধরছে। এই পরিস্থিতিতে স্যাটেলাইটের দ্বারা দেশের সুরক্ষা একটি বড় বিষয়। ইসরোর চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ বলেন, দেশের সুরক্ষার জন্যই শুধু ১০ টি স্যাটেলাইট কাজ করছে। এগুলি দেশের স্ট্র্যাটেজিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যা দেশের সুরক্ষা ও নাগরিক নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়।
‘সেন্ট্রাল এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি’তে এক ভাষণের সময় ভি নারায়ণ বলেন,' আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হরে আমাদের তা করতে হবে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। আমাদের নজর রাখতে হয় ৭ হাজার কিলোমিটারের দীর্ঘ সমুদ্রতীর। আমরা স্যাটেলাইট আর ড্রোন প্রযুক্তি ছাড়া তা করতে পারব না।' তিনি জানান, ইসরোর বহু স্যাটেলাইটই দেশের সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে রয়েছে। যেমন কৃষি টেলি মেডিসিন, টেলি এডুকেশন ক্ষেত্রে রয়েছে ভারতের স্যাটেলাইট। এছাড়াও পরিবেশে নজরদারি, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টেলিভিশন সম্প্রচার, খাদ্য নিরাপত্তা ও স্ট্র্যাটেজিক সেক্টরের জন্য ভারতের স্যাটেলাইটগুলি রয়েছে। তিনি বলছেন, স্যাটেলাইটের ভূমিকা দেশকে বহু স্তরে সুবিধা এনে দিয়েছে। ইসরো প্রধান বলেন, 'আগে, দুর্যোগের সময় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাতেন, কিন্তু আজ তা নেই।'
মহাকাশ বিজ্ঞানে ইসরো তথা দেশের প্রাপ্তি নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন ওই ভাষণে। ভি নারায়ণ বলেন,'চন্দ্রযান-১ অভিযান চাঁদের পৃষ্ঠে জলের অণুর প্রমাণ আবিষ্কার করে। ভারতই প্রথম দেশ যারা এই অর্জন করেছে। ভারত থেকে ৩৪টি দেশের জন্য কমপক্ষে ৪৩৩টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এবং কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে'। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, তিনি বলেন, ভারত জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র পর্যবেক্ষণের জন্য জি ২০ দেশগুলির জন্য স্যাটেলাইট তৈরি করেছে। ভি নারায়ণন আরও বলেন, ভারত এবং আমেরিকা যৌথভাবে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং উন্নত আর্থ-ইমেজিং স্যাটেলাইট তৈরি করবে, যা ভারত থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।