সদ্য বঙ্গকন্যা প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছেন প্রতীক বব্ব। থুড়ি, প্রতীক স্মিতা পাতিল। নিজের বিয়েতে তিনি বাবা রাজ বব্বর এবং সৎ ভাই-বোনেদের নিমন্ত্রণ করেননি, আর তারপরই প্রয়াত মা-অভিনেত্রী স্মিতা পাতিলের নাম নিজের পদবি হিসেবে গ্রহণ করে সকলকে চমকে দেন প্রতীক। তখন থেকেই বারবার চর্চায় উঠে আসছিলেন। আর এবার জুমের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় প্রতীক স্মিতা পাতিল জানিয়েছেন যে তিনি ফারহান আখতারের সৎ ভাই হতে পারতেন।
হ্য়াঁ, ঠিকই শুনছেন। সম্প্রতি সাক্ষাৎকারে এমনই অবাক করে দেওয়া তথ্যই সামনে এনেছেন প্রতীক। প্রসঙ্গত, অনেকেই হয়ত জানেন না, একসময় স্মিতা পাতিল এবং শাবানা আজমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁরা দুজনেই আর্ট হাউস সিনেমাকে বিখ্যাত করে তুলেছিলেন। তবে, ১৯৮৬ সালে স্মিতা পাতিলের মৃত্যুর পর, শাবানা অনুভব করেন যে তাঁরা একটা সম্পদ হারিয়েছেন।
আর জুম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গ ধরে স্মিতা পাতিল পুত্র প্রতীক বলেন, ‘আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি যে শাবানা আজমিজি এবং জাভেদ আখতার সাহেব আমার মায়ের মৃত্যুর পর আমাকে দত্তক নিতে চেয়েছিলেন। এটা একটু জটিল ছিল। তবে আমি ফারহান আখতারের সৎ ভাই হতে পারতাম (হাসি)। এটা বেশ আকর্ষণীয়। আমি সবসময় আমার সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিস জানতে পারি।’
আরও পড়ুন-সবুজে ঘেরা বাগানে ময়ূরের সঙ্গে নাচতে শুরু করলেন, লাফিয়ে আম পাড়লেন কঙ্গনা, নেটপাড়া বলছে…
প্রতীক স্বীকার করেন যে তিনি তার মায়ের সহকর্মীদের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে অভিভূত বোধ করেছিলেন। অভিনেতা আরও বলেন, ‘স্পষ্টতই, আমার মা মারা যাওয়ার পর অনেক কিছু ঘটেছিল। আমাকে হেফাজতের লড়াই হয়েছিল। লোকেরা আমাকে দত্তক নেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং আমার মায়ের কিছু সহকর্মীও আমার প্রতি খুব প্রতিরক্ষামূলক ছিলেন।’
শাবানা আজমি, জাভেদ আখতার, অমিতাভ বচ্চন এবং অন্যান্য অভিনেতাদের নাম নিয়েছেন প্রতীক যাঁরা তাকে তাঁদের নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসা দেন। এজন্য প্রতীক তার মা স্মিতা পাতিলকে ধন্যবাদ জানান, যাকে তিনি তাঁর দেবদূত অভিভাবক বলেন। তিনি বলেন যে তাঁর ভালো কাজ এবং উত্তরাধিকারের কারণে, মানুষ এখনও তাঁকে স্নেহের সঙ্গে স্মরণ করেন।