'ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভূমিকা সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই।' সংঘর্ষবিরতি চুক্তির জেরে ভারতের হাত থেকে পাকিস্তানের প্রাণ বাঁচতেই এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন ব্রিটেনে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার মহম্মদ ফয়জল। শনিবার বিকেল পাঁচটা থেকে সংঘর্ষবিরতি শুরু হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। তবে ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণা করার আগেই ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করে দেন। এরপরেই ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি ইস্যুতে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
আরও পড়ুন-'ট্রাম্পকে শিক্ষিত করুন!' US-র কাশ্মীর মধ্যস্থতার প্রস্তাবে সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা
এই আবহে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে দুই দেশের সংঘর্ষবিরতিতে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, 'না, আমার কাছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেই। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই। তিনি টুইট করেছেন যে তাঁরা এতে ভূমিকা রেখেছেন। যদি আমাদের বন্ধুরা শান্তিতে পৌঁছাতে সাহায্য এবং তারপর শান্তির সঙ্গে অধ্যবসায় করার জন্য সেখানে থাকে, তবে খুবই ভালো।'
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি ঘোষণা করেন, 'ভারতীয় সেনার ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনকে ফোন করেন পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন। তারপর দু’পক্ষই গোলাগুলি এবং সামরিক অভিযান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' তার আগে অবশ্য ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ায় উভয় দেশকে অভিনন্দন।'
আরও পড়ুন-'ট্রাম্পকে শিক্ষিত করুন!' US-র কাশ্মীর মধ্যস্থতার প্রস্তাবে সরব কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা
এখানেই থেম থাকেননি ট্রাম্প। কাশ্মীর ইস্যু তুলে রবিবার ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, 'ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী ও অটল নেতৃত্বের জন্য আমি গর্বিত।তাদের জ্ঞান, সাহস এবং দৃঢ়তার কারণে তারা বুঝতে পেরেছেন যে এই সংঘাত বন্ধ করার সময় এসেছে, যা লক্ষ-লক্ষ নিরীহ মানুষের মৃত্যু ও ধ্বংসের কারণ হতে পারত। আপনাদের এই সাহসী পদক্ষেপ আপনাদের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।'
ট্রাম্প আরও বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সহায়তা করতে পেরে আমি গর্বিত। এছাড়াও, আমি দুই মহান দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করব। এর পাশাপাশি, আমি আপনাদের সঙ্গে মিলে কাজ করব, যাতে হাজার বছর ধরে চলা কাশ্মীর সমস্যার একটি সমাধান খুঁজে বের করা যায়। ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বকে এই কাজের জন্য আশীর্বাদ করছি।'