আসন্ন সপ্তাহের বুধবার আমেরিকা যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর মার্কিন সফর ঘিরে 🔴স্বভাবতই কূটনৈতিক মহলের নজর রয়েছে। এদিকে, ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ চেয়ে ক্রমাগত সরব হতে দেখা যাচ্ছে ঢাকাকে। এই পরিস্থিতিতে, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কের খতিয়ান নিয়ে মুখ খুললেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তৌহিদ হোসেনের বার্তায় উঠে আসে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়েও নানান তথ্য।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কী বলল ঢাকা?
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্✨রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন স্বীকার করে নিয়েছেন যে, সম্প্রতি ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্কে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে এবং ‘এটি অস্বীকার করায় কোনো লাভ নেই।’ এছাড়াও গত ৫ অগস্ট ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আসা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে ভারতের সঙ্গে তৈরি হওয়া জটিলতার জায়গাটিও তিনি অস্বীকার করেননি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অস্বস্তির অনুভূতি তৈরি হয়েছে। আমাদের প🍰ক্ষ থেকে আমরা নয়াদিল্লির সঙ্গে এই অস্বস্তি দূর করার চেষ্টা করেছি। তৌহিদ হোসেন বলেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের সঙ্গে এমন একটি সম্পর্ক স্থাপন করা, যা পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে পারে এবং উভয় দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে পারে এবং 'সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।' এছাড়াও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ইউনুসের কথপোকথন ও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ দ্বিপাক্ষিক আলাপচারিতা উন্নত সম্পর্কের ক্ষেত্র তৈরি করেছে। তিনি বলেন, উভয় দিক থেকে সম্পর্কের মাঝে আসা যাবতীয় বাধা কাটিয়ে 'একটি ভালো কার্যকরী সম্পর্ক তৈরি করার লক্ষ্য রাখে' বাংলাদেশ।
আমেরিকা প্রসঙ্গে ঢাকা:-
সদ্য মার্কিন মুলুকের তখতে বসেই বেশ কিছু বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের সাহায্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলতে গিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটি 'প𓃲্রত্যাশিত' এবং তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইউএসএইডের অস্থায়ী সাহায্য স্থগিতাদেশ কোনও নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে নয়। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন মার্কিন প্রশাসন এমন নীতি চালু করেছে, যা তার পূর্বসূরির থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন।’ এরই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে হবে এবং সেই অনুযায়ী মানিয়ে নিতে হবে।' এছাড়াও গুরুত্ব পূর্ণভাবে তিনি বলেন, 'যখন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দেয়, তখন আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য কৌশলগতভাবে কাজ করতে হয়।'
চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক:-
তৌহিদ হোসেন বলেন, পূর্ববর্তী সমস্ত সরকার চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায়💎 রেখেছে এবং 'এটি অব্যাহত রাখা আমাদের লক্ষ্য'। তিনি এও জানান, পশ্চিমী দেশগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক, চিনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে না। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, চিন ঢাকার নিকটতম কুনমিংয়ে দুটি থেকে তিনটি হাসপাতাল আমাদের জন্য মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ বাংলাদেশি রোগীরা ভারতের চিকিৎসা ভিসা পেতে অসুবিধার সম্মℱুখীন হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি কার্যত কৌশলী বার্তায় বলেন, তিনি বলেন, 'ভারতের সঙ্গে ভিসা সমস্যা অব্যাহত থাকায়, আমরা চিকিৎসার জন্য একটি বিকল্প গন্তব্য খুঁজছিলাম। আমরা বিশ্বাস করি যে, ভারতীয় ভিসার সমস্যা বিবেচনা করে এটি একটি কার্যকর বিকল্প হবে।'
চিন-আমেরিকা-ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তৌহিদ:-
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে ভারত, চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ঢাকার তরফে তিনি স্পষ্ট করেন যে, এই তিন দেশই বাংলাদেশের জন্য কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, 'ভারত, চিন ও আ🌜মেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অবশ্যই আমাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষা করে এই তিনটি দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখব।' পাকিস্তান- বাংলাদেশ স🦹ম্পর্কের খতিয়ান নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন,'আমরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিক করতে কাজ করেছি। পাকিস্তানও সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে এবং আমরা তা স্বাগত জানিয়েছি।'