রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। যুদ্ধ কবে শেষ হবে, সেই বিষয়টাকে প্রভাবিত করতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এমনই মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সংবাদমাধ্যম ▨দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘অত্যন্ত বড় একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন মোদী। এ𒅌রকম একটা দেশ স্রেফ এটা বলতে পারে না, আমরা চাই যে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাক। যুদ্ধ শেষ করার বিষয়টিকে প্রভাবিত করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।’ আর কীভাবে সেই কাজটা করা যায়, সেটাও ব্যাখ্যা করে দেন জেলেনস্কি। ওই সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘রাশিয়ার অর্থনীতিকে অবরুদ্ধ করলে, সস্তার শক্তি সম্পদ না কিনলে এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতকে অবরুদ্ধ করে দিলেই আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষমতা কমে যাবে মস্কোর।’
শান্তির পক্ষে ভারত, বরাবরই জানিয়েছে ভারত
জেলেনস্কির সেই মন্তব্য নিয়ে নয়াদিল্লির তরফে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। তবে ভারত বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ডাক দিয়ে এসেছে। গত সপ্তাহেই কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় মোদী বলেন, ‘রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমস্যা নিয়ে আমরা সবপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেছি। আমরা বরাবরই এই অবস্থানে অনড় থেকেছি যে আলোচনা🦹র মাধ্যমেই সব সংঘাতের সমাধান করা যায়। আমরা বিশ্বাস করি, যে কোনও সংঘাতের ক্ষেত্রেই শান্তিপূর্ণ একটা𝓀 সমাধানসূত্র বের করতে হবে। শান্তিপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে ভারত বরাবরই প্রস্তুত।’
মোদীর ঘাড়ে বন্দুক রাখার চেষ্টা জেলেনস্কির
তারইমধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নি♐য়ে মোদীর ঘাড়ে জেলেনস্কি বন্দুক চাপানোর চেষ্টা করলেও মাসকয়েক আগেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছিলেন যে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের সংঘাতে ইতি টানতে মস্কো এবং কিয়েভকেই আলোচনার টেবিলে বসতে হবে। শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ভারত যে কোনও পরামর্শ দিতে রাজি আছে। কিন্তু সংঘাতে ইতি টানার জন্য আলোচনার টেবিলে বসতে হবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনকেই।
মূলত রাশিয়া-পন্থী, ব্রিকস সম্মেলনের পরে কটাক্ষ জেলেনস্কির
জেলেনস্কি অবশ্য সব দায় অন্যদের ঘাড়ে ঠেলে দ🌞িতে চেয়েছেন। ওই সাক্ষাৎকারে সরাসরি বলেছেন, ‘য🥃ুদ্ধ শেষ করার বিষয়টিকে প্রভাবিত করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যে কোনও সংঘাতের ক্ষেত্রে তাঁর এমনই গুরুত্ব আছে। এটাই ভারতের গুরুত্ব।’ সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ব্রিকস সম্মেলনে যে সমস্ত দেশ বলেছে যে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চায়, তাদের দেখে তাঁর মূলত রাশিয়া-পন্থী বলে মনে হচ্ছিল।