এক দেশ-এক নির্বাচন। One Nation One Election। কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে একটি প্যানেলও তৈরি করেছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই প্যানেলের একেবারে মাথায় রয়েছেন। সেই প্যানেল নিয়ে দ্রুত নোটিফিকেশন করা হবে বলে খবর।১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। সরকার একটি স্পেশাল সংসদীয় সেশনের আয়োজন করেছে। সেখানে সম্ভবত এক দেশ এক ভোট বিষয়ে বিল আনা হতে পারে। কিন্তু এই এক দেশ এক ভোট বিষয়টি ঠিক কী?অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই ধারণার মাধ্যমে গোটা দেশ জুড়ে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন সব একসঙ্গে হবে। তবে বর্তমানে ভারতে সাধারণত লোকসভা নির্বাচন ও বিধানসভা নির্বাচন আলাদাভাবে হয়। অর্থাৎ রাজ্যের ক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনগুলো আলাদাভাবে ভিন্ন সময়ে হয়। আবার লোকসভা নির্বাচনের সময়গুলো অন্য সময়ে হয়। তবে এক দেশ, এক ভোটের ধারণাটি হল লোকসভা, বিধানসভা সব নির্বাচনই একই সময়ে হবে। এখানে কোনও ফারাক থাকবে না।তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার বারই এই এক দেশ-এক ভোট ধারণাকে সামনে আনার চেষ্টা করেছেন। ২০১৪ সালের যখন লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল তখন বিজেপির পক্ষ থেকে এই বিষয়টি তুলে আনা হয়। খবর এনডিটিভি সূত্রে।কিন্তু এই একই সময়ে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটগুলি করলে আখেরে লাভটা কী হবে? এনিয়ে কার্যত নানা মুণির নানা মত। তবে এই ধারণাকে যারা বিশ্বাস করেন তাঁদের মতে, নির্বাচন করার বিপুল খরচ। একবার লোকসভা ও আরেকবার বিধানসভা ভোট করা হলে প্রচুর টাকার খরচ হয়। কিন্তু একসঙ্গে ভোট করালে সেই টাকা অনেকটাই বেঁচে যাবে। এর জেরে বহু অর্থ বেঁচে যাবে। সেই টাকা অন্য কল্যাণময় কাজে ব্যবহার করা যাবে।আর কী সুবিধা হতে পারে এর জেরে?এইভাবে একই দিনে ভোট হলে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে। প্রশাসনিক দিক থেকেও প্রচুর সুবিধা হবে। এর পাশাপাশি একই সময় দুটি ভোট হলে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেকটাই বাড়বে।তবে এই ধরনের ভোট করার ক্ষেত্রে সমস্যাও রয়েছে। একই সঙ্গে দুটি ভোট হলে স্থানীয় সমস্যাগুলির উপর ফোকাস করা যাবে না। সেগুলি অবহেলিত থেকে যাবে। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টিগুলি একেবারে টাকা পয়সা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। কিন্তু আঞ্চলিকগুলি পাত্তাই পাবে না।