দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে রয়েছে সিসিটিভি। মূলত যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে স্টেশনগুলিতে সিসিটিভি আছে। কিন্তু রেলওয়ে মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের সমস্ত স্টেশনের নিরিখে সেই সংখ্যাটা সামান্য মাত্রꦜ। দেশের শুধু ১১ শতাংশ রেল স্টেশন সিসিটিভির নজরদারিতে রয়েছে। অর্থাৎ ৮৯.শতাংশ রেল স্টেশনে সিসিটিভি নেই। যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে থাকে রেল। সে ক্ষেত্রে এত কম সংখ্যক স্টেশনে কেন সিসিটিভি রয়েছে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: যাত্রীদের নিরাপত্♔তার স্বার্থে এবার ছোট স্টেশনগুলিতেও বসবে সিসিটিভি
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দꦚ্র মোদী। তা সত্ত্বেও নজরদারির ক্ষেত্রে সিসিটিভি যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেক্ষেত্রে এত সংখ্যক স্টেশনে কেন সিসিটিভি না থাকায় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতীয় রেলে মোট ১৮টি জোন রয়েছে। এই জোনগুলিতে মোট ৭৩৪৯ টি স্টেশন রয়েছে। এর মধ্যে সিসিটিভি হয়েছে ৭৯৯ টি স্টেশনে। অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে দেখতে গেলে মাত্র ১০.৮৭ শতাংশ রেল স্টেশনে সিসিটিভি আছে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সিসিটিভি আছে সেন্ট্রাল রেলওয়ে জোনে। এই জোনের ১১৩ টি স্টেশন সিসিটিভির নজরদারিতে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নর্দান রেলওয়ে জোন। সেখানে ১২৬ স্টেশনে সিসিটিভি আছে। কোঙ্কন জোনে রয়েছে ৬৭ টি সিসিটিভি এবং ওয়েস্টার্ন জোনে ৬৫ টি সিসিটিভি রয়েছে। এ ছাড়া, ইস্টার্ন জোনে ২৭ টি সিসিটিভি রয়েছে । তবে নর্থ ইস্টার্ন এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন জোনে ২৫টি করেছে সিসিটিভি আছে।
আবার সমস্ত ট্রেনেও সিসিটিভি নেই। দেশে এত সংখ্যক ট্রেন চলাচল করলেও মাত্র ৭২৬৪ টি কোচে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। যদিও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও🌸 বিভিন্ন জোন এবং ডিভিশনে সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে। তার মধ্যে মুম্বই লোকাল ট্রেনের ৭৭১ টি লেডিস স্পেশাল কোচে সিসিটিভি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে বর্তমানে ১৯৯ টি কোচে সিসিটিভি রয়েছে। এর পাশাপাশি বহু কোচে টকব্যাক সিস্টেম ইনস্টলেশনের কাজ করা হচ্ছে। সাউদার্ন রেলওয়ের চেন্নাই ডিভিশনে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ১২৮টি স্টেশনে সিসিটিভি বসানো হবে। কিন্তু তারপরে নজরদারির বাইরে থেকে যাচ্ছে বহু স্টেশন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে, কলকাতা মেট্রোতে ৪০টি স্টেশন থাকলেও ৩৩টি সিসিটিভি রয়েছে। রেল সূত্রে খবর, আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যায় স্টেশনগুলিকে সিসিটিভির নজরদারিতে আনা হবে।