ডেমচক এবং ডেপস্যাং থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত এবং চিন উভয় দেশই। তবে ভারত ও চিনের দীর্ঘ সীমান্তের ওপারে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এখনও দাঁড়িয়ে ১ লাখ ২০ হাজারের মতো চিনা সৈনিক। এরই মাঝে সম্প্রতি ভিয়েতনামে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিাল ডং জুনের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের রাজনাথ সিং। এবং বৈঠক শেষে রাজনাথ জানন, দুই দেশই একে অপরের প্রতি আস্থা বৃদ্ধির পক্ষে সায় দিয়েছে। রাজনাথ বলেন, 'আমাদের সংঘাত নয়, প্রয়োজন পারস্পরিক সহযোগিতা।' (আরও পড়ুন: মা🌞র্কিন মামলায় অভিযুক্ত আদানিকে গ্রেফতার করা হোক ভারতে, দাবি রাহুল গান্ধীর)
আরও পড়ুন: আন্দামান সাগরে তৈ༒রি𝔉 হচ্ছে গভীর নিম্নচাপ, ফের আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়?
চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ৫০ মিনিট ধরে বৈঠক হয় রাজনাথের। এই বৈঠক বেশ সদার্থক হয়েছে বলেই জানান ভারতীয় মন্ত্রী। রাজনাথ জানান, পারস্পরিক আস্থা এবং বোঝাপড়া বৃদ্ধির জন্যে একসঙ্গে দুই দেশ একটি রূপরেখা তৈরিতে সম্মত হয়েছে। রাজনাথ আরও বলেন, 'বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিশালী দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হলে তা বিশ্ব শান্তির জন্যে ইতিবাচর হবে। এবং এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করে তুলবে।' (আরও পড়ুন: ওঠে নমুনা♔ অদল-বদলে❀র অভিযোগ, আদালতে সাক্ষ্য দিলেন ফরেন্সিক ল্যাবের ৩ বিশেষজ্ঞ)
আরও পড়ুন: ১০ꦓ হাজার কোটির কেলেঙ্কারি... কসবাকাণ্ডের আবহে😼 CBI চাইলেন কুণাল ঘোষ!
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ভারত ও চিন। এরপর দুই দেশ সেই এলাকায় টহলও সম্পন্ন করেছে। এরই মাঝে রাজনাথের সঙ্গে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হল। এর আগে ব্রাজিলে রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মলেন ফাঁকে দুই প্রতিবেশী দেশের বিদেশমন্ত্রীরাও মিলিত হয়েছিলেন। বৈঠকের পর জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে কথা হয় তাঁদের। (আরও পড়ুন: বাজার খুলতেই ধস আদানির শেয়ারগুলিতে, কোনও স্টকের দাম পড়ল ১৫%,♚ তো কোনওটা ২০🦩%)
আরও পড়ুন: ঘুষকাণ্ডে আমারেকিয়া অভিযুক্ত গৌতম, আদানির বন🐟্ডের দাম কমল হু হু করে
প্রসঙ্গত, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা কমাতে সম্প্রতি চুক্তি করেছিল ভারত ও চিনা সেনা। এই আবহে ডেমচক এবং ডেপস্যাঙ থেকে দুই দেশই তাদের সেনা প্রত্যাহার করেছে। সেই সব অঞ্চলে প্রথম দফায় টহল সম্পন্ন করেছে ভারত ও চিন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ডেমচক এবং ডেপস্যাঙে যৌথ টহল দেয় ভরত ও চিনা সেনা। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দুই দেশের সেনার চুক্তি অনুযায়ী, ভারত এবং চিন এক এক সপ্তাহে এই এলাকায় টহল দেবে। এভাবেই ধীরে ধীরে দুই দেশের মনে একে অপরের প্রতি আস্থা জন্মাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে নিয়মিত ভাবে দুই দেশের সেনাই একে অপরের সঙ্গে বৈঠকেও বসবে। (আরও পড়ুন: ঘুষ কাণ্ডে পাওয়ার পয়েন্ট ⛄প্রেজেন্টেশন, এক্সেল শিটে তথ্য ‘সেভ’ করে রেখেছিল আদানি?)
আরও পড়ুন: 🌄USA-তে মামলায় অভিযুক্ত আদানি, এরই মাঝে গৌতমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক FBI সহপরিচালক
আরও পড়ুন: কানাডায় নিজ্জর খুনের ছকের বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন মোদী? অভিযো✃গ নিয়ে মুখ খুলল ভারত
উল্লেখ্য, প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ফের লাদাখের ডেমচক এবং ডেপস্যাঙে টহল দিয়েছে ভারতীয় সেনার। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালের সংঘাতের আগে যে অবস্থান পর্যন্ত ভারতীয় সেনা টহল দিত, এখনও সেখান পর্যন্তই টহল দিতে শুরু করেছে তারা। উল্লেখ্য, লাদাখের ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনা প্রত্যাহার হয়েছে দিওয়ালির আগেই। ভারত ও চিন, দুই দেশের সেনাই যৌথ ভাবে সেখানে 'যাচাই পর্ব' চালিয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে যে সব অস্থায়ী তাঁবু খাটানো হয়েছিল, তা খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই আবহে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া দুই পক্ষের তরফ থেকই সঠিক ভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতেই 'ভেরিফিকেশন' চলেছিল। বিগত কয়েক বছর ধরেই ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ভারতীয় দিকে। আর ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছিল চিনা সেনা। এই ওয়াই 🌃জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে।