সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে তিনটি সেমিকন্ডাক্টার কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১.২ লাখ কোটি টাকার এই তিন প্রকল্পের কাজ শুরু হতেই আরও বড় ঘোষণা করলেন ইলেকট্রনিক অ্যান্ড আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, আগামী পাঁচ বছরে আরও পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টার কারখানা তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এদিকে শুধুমাত্র তাই নয়, দেশে সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম তৈরির জন্য একাধিক অ্যাসেম্বলি লাইন, পরীক্ষাগার, প্যাকেজিং ইউনিট বা এটিএমপি ইউনিট তৈরি করা হবে। (আরও পড়ুন: স্কুলে নিয়োগ নিয়ে বড় ঘো🐠ষণা মুখ্যমন্ত্রীর, এছাড়া সরকা🍸রি কর্মীদের লাভ ৪৫০০০ + ১%)
আরও পড়ুন: ৫০০০ কোটি দিতে চাইল কেন্দ্র, কর্মীদের DA বাড়িয়ে রাজ্য বলল, '১০০০০ কোট🐎ি চাই'
চেন্নাইয়ে মার্কিন সংস্থা কোয়ালকমের ডিজাইন সেন্টারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হই বৈষ্ণব। মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ১.৬ লাখ টাকা মূল্যের চারটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'এখন দেশে যে চারটি সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের কাজ চলছে, তার সম্মিলিত মূল্য ১.৬ লাখ কোটি টাকা। আর এটা সবে সূচনা। আগামী পাঁচবছরে আরও চার থেকে পাঁচটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানার কাজ শুরু হবে। এছাড়াও আরও বহু এটিএমপি ইউনিট তৈরি হবে দেশে। এই ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আমাদের ফোকাস রয়েছে। এটা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের অন্তত ৮টি রাজ্য খুব জোর দিয়ে এই খাতে কাজ করছে। আগের চারটি প্রকল্পের সাফল্য দেখে এই জোর দেওয়া হচ্ছে।' (আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ডে ৩১১৫ কোটি দেওয়া ৪টি সংস্থায় হানা দিয়েছিল ED-CBI, তাল🔯িকায় বাংলার সংস্থাও)
আরও পড়ুন: ভোটের দিন ঘোষণার আগে ৩১০০ কোট🐲ির বোঝা﷽ কাঁধে নিল রাজ্য, আরও বাড়ল DA, VAT কমল তেলে
এ🌞দি🤪কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর আগে দাবি করেছিলেন গুজরাটে টাটার কারখানা থেকে ২০২৬ সালেই সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, গুজরাটের ধোলেরা ও সানন্দ এবং অসমের মরিগাঁও জেলায় তিনটি সেমিকন্ডাক্টর কারখানার শিলান্যাস করেন মোদী। এর মধ্যে ধোলেরায় তাইওয়ানের সংস্থার সহায়তায় তৈরি এআই পরিচালিত সেমিকন্ডাক্টর কারাখানা তৈরি হবে। এই একটি কারখানায় বিনিয়োগ করা হচ্ছে ৯১ হাজার কোটি টাকা। এদিকে অসমে যে সেমিকন্ডাক্টরের কারখানা তৈরি হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেখান থেকেই দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক সেমিকন্ডাক্টর তৈরি হওয়ার কথা। সরকারের দাবি, দিনে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ সেমিকন্ডাক্টর তৈরি হবে এই কারখানায়। এই কারখানার জন্য প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে কাজ পাবেন ১৫ হাজার মানুষ।