আরব সাগরের জলে পরপর চলছে গুলি, ‘ঠাঁই, ঠাঁই’ করে কানে আসছে সেই আওয়াজ। অপহৃত নাবিকরা যে ভেসেলে আছেন, তার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর হেলিকপ্টার। তারপরে ওই ভেসেলে উঠে পড়ছেন ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসাররা। সে⭕টার পরে হাত বেঁধে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাঁটু মুড়ে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর অত্যাধুনি꧅ক বন্দুক তাক করে রেখেছেন ভারতীয় কম্যান্ডোরা। অন্যদিকে, ভারতীয় কম্যান্ডোদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন ইরানের মাছ ধরার ভেসেল এফভি ইমানে থাকা ইরানিয়ান এবং পাকিস্তানিরা।
সেই রুদ্ধশ্বাস মিশনের এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করল ভারতীয় নৌসেনা। যে ভিডিয়ো দেখলে প্রতিটি মুহূর্তে গায়ে কাঁটা দেবে। আরব সাগরের ঠিক যেখানে সেই ঘটনা ঘটেছে, তা ভারতের কোচির পশ্চিম দিকে প্রায় ৭০০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থিত। সোমবার ভারতীয় নৌসেনার তরফে জানানো হয়, সোমালিয়ার পূর্ব উপকূল বরাবর ওই ভেসেলে সোমালিয়ার জলদস্যুরা উঠে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। নাবিকদের অপহর𒅌ণ করা হয়। সেই খবর পেয়েই অভিযানে নামে আইএনএস সুমিত্রা। উদ্ধার করা হয় ভেসেলে থাকা প্রত্যেক নাবিককে। আর তাঁদের কেউ ভারতীয় ছিলেন না। তাঁরা আদতে ইরান এবং পাকিস্তানের নাগরিক।
কীভাবে সেꦰই রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালানো হয়, ব🎃ুধবার সেটার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাতে দেখা গিয়েছে যে ইরানের ভেসেলের ঠিক পিছনেই আছে আইএনএস সুমিত্রা। প্রাথমিকভাবে জলদস্যুদের সতর্ক করা হচ্ছে। ‘ওয়ার্নিং শট’ হিসেবে সমুদ্রের জলে পরপর গুলি চালাচ্ছেন ভারতীয় কম্যান্ডোরা। তারইমধ্যে ওই ভেসেলের উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে ভারতীয় নৌসেনার একটি হেলিকপ্টার। তারপর লাইফবোটের মতো নৌকায় করে কয়েকজন ভারতীয় অফিসারকে ওই ভেসেলে উঠতে শুরু করেন। জলদস্যুদের পুরোপুরি ঘিরে ফেলেন ভারতীয় কম্যান্ডোরা। তাদের দিকে বন্দুক তাক করে রাখা হয়। পিছনে মুড়ে রাখা হয় হাত।
তারইমধ্যে ভারতীয় নৌসেনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে থাকেন ইরানিয়ান এবং পাকিস্তানি নাবিকরা। একজনকে হিন্দিতে বলতে শোনা যায়, 'ভারতীয় নৌসেনাকে জলদস্যুরা পালনোর চেষ্টা করꦑেছিল। কিন্তু জলদস্যুদের ধরে ফেলে ভারতীয় নৌসেনা। তারপর ওরা (জলদস্যুরা) সব অস্ত্র ফেলে দেয়।' পরবর্তীতে আবার রওনা দেয় ইরানের মাছ ধরার ভেসেল এফভি ইমান।