হাই কোর্টের নির্দেশে কলকাতা পুলিশের বদলে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার কাঁধে নিয়েছে সিবিআই। এই আবহে আজ সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে মামলার স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হল। আগামী ২২ অগস্ট সিবিআইকে চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। এদিকে গত ১৪ অগস্ট হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা নিয়েও ওই দিন রিপোর্ট দেবে রাজ্য। আগামী ২৩ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে꧅র সাথে জড়াবেন না দুর্গাপুজোকে, আবেদন ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের আবহে জোড়া ফুল শিবিরে চিড় আরও চওড়া? 🔯মমতার পদক্ষেপে জল্পনা
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক শ্মশানের ম্যানেজার, আরজি কর ಞকাণ্ডে শেষকৃত্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
আজ সুপ্রিম কোর🏅্টের তরফ থেকে প্রশ্ন করা হয়, একজন চিকিৎসক খুন হলেন রাতে। দেহ উদ্ধার হল সকালে। এরপর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের হয়। তবে খুনের মামলা রুজু হয় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে। নির্যাতিতার বাবা গিয়ে এফআইআর করেন। তাহলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করল? এর আগে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কী ভাবে আবার অন্য কোথাও যোগ দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি বলেন, 'প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?'
আরও পড়ুন: '... হয়ত ময়নাতদন্তই হত না', আরজি💛 কর কাণ্ডে বড় দাবি চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীর
প্রধান বিচারপতি আজ আরও বলেন, 'ব𓄧িকেলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল রাত ১১টা ৪৫মিনিটে। তার আগে কী করছিলেন অধ্যক্ষ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ? ওই সময়ে মৃতার বাবা-মা ছিলেন না। হাসপাতালের দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।' এদিকে রাজ্যের তরফ থেকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল যুক্তি সাজাতে চেষ্টা করেন। অপরদিকে প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কী করা হবে বলে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। তার জবাবে কপিল সিব্বল বলেন, শীর্ষ আদালত যা বলবে তাই করব। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্য সরকার যেন শান্তিপ্রিয় প্রতিবাদীদের ওপর কোনও বল প্রয়োগ করা যাবে না। এদিকে সিবিআইকে আগামী ২৩ তারিখের শুনানিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'লক্ষ্মীর ভাণ্ড𒀰ার নেওয়ার আগে...', ম🀅মতার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ নির্যাতিতার মায়ের
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের চার তলায় চেস্ট মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ। সেই ঘটনা ঘিরে রহস্য ঘ𓆏নীভূত হয়। মৃত চিকিৎসকের মা-বাবা অভিযোগ করেন, তাঁদের প্রথমে বলা হয়েছিল যে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর জানা যায় খুন। পরে ধর্ষণের মামলাও রুজু করা হয়। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই আবহে পুলিশ আধিকারিক থেকে হাসপাতাল কর্তপক্ষের আধিকারিকদের বদলি করে সরকার। তবে হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগ করেন। যদিও পদত্যাগ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ করার ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাপা দেওার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করে শীর্ষ আদালত।