বন্যাকবলিত ত্রিপুরায় কালীমূর্তি ভাঙচুর নিয়ে ছড়াল ব্যাপক উত্তেজনা। কালীমূর্তি ভাঙচুরের পর আগরতলার কাছে রানিবাজার এলাকায় ক্ষোভে ফুঁসছেন হিন্দুরা। ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে রবিবার রাতে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভরত জনতা। আღগুনে একাধিক বাড়ি ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন সেরাজ্যের ডিজি।
আরও পড়ুন - RG কর তদন্তে CBI-কে পথ দেখাচ্ছে পুলিশ, হাতে তুলে দিয়েছে ৫৩ ‘প্রমাণ’, ৯টি স﷽ঞ্জয়ের
পড়তে থাকুন - ‘আরজি করের নির্যাতিতার দেহ সৎকারের শ্মশান খর♈চ দিল কে? শ্মশানে কে কꩵরল সই?’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগরতলা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে রানিবাজারে একটি মন্দিরে কালীমূর্তি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। এর জেরে এলাকার হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রবিবার রাতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা পুল👍িশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর জেরে ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী।🐬 বিক্ষোভকারীদের এলাকা ♍থেকে সরিয়ে দেয় তারা। এর পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি অমিতাভ রঞ্জন বলেন, ‘হিংসা রুখতে আমরা এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করেছি। পুলিশের তরফে মামলা করা হয়েছে। কারা আগুন লাগাল তাদের সন্ধান চলছﷺে।’
আরও পড়ুন - ‘বহুত কুছ এভিডেন্স হ্যা꧟য়!’ হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই জানাল সিবিআই, তল্লাশি রাতেও
এই ঘটনায় রাজ্যবাসীকে শান্ত থাকতে বলেছেন রাজ্যের শাসক জোটের অন্যতম সদস্য তিপ্রো মোথার প্রধান প্রদোৎ মাণিক্য দেববর্মা। সোশ্যাল সাইটে তিনি লিখেছেন, ‘রানিবাজারে যে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা যথেষ্ট উদবেগজনক। এলাকার সকল মানুষের কাছে অনুরোধ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। বর্তমানে আমাদের রাজ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে লড়াই করছে। এই পরিস্থিতির মাঝে🌳 কিছু মানুষ চাইছেন ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে। যাতে পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরানো যায়। যে ধর্মের মানুষ হোন না কেন দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করুন। এই কঠিন সময়ে একতাই পারে শান্তি বজায় রাখতে।’