প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে চিনকে কড়া বার্তা দিয়ে▨ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেই মন্তব্যের রেশ ধরে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর দাবি করলেন, বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্যে বোঝাচ্ছে যে ভারত-চিন সীমান্তে একতরফা পরিবর্তন করেছে বেজিং। সেইসঙ্গে সীমান্🧸তে সংঘাত নিয়ে সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীকে দেখা করার পরামর্শ দিলেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলেনের ফাঁকে বুধবার চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শংকর। সেই বৈঠকের পর যে টুইট করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী, সেই টুইট রিটুইট করে থারুর বꦗলেন, ‘এটার অর্থ যে ইন্দো-চিনা সীমান্তে একতরফা অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, শান্তি ও সুস্থিতি ব্যাহত হয়েছে এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কয়েকটি বিষয় আছে, যা নিয়ে মিলিটারি কমান্ডারদের সঙ্গে আমাদের বিদেশমন্ত্রীর দেখা করার প্রয়োজন আছে। আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে জানার এটা কূটনৈতিক কোড।’
বুধবার তাজিকিস্তানের রাজধানীতে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জয়শংকর বলেছিলেন, 'ওয়ের্স্টান সেক্টরে প্রকৃত নি🌸য়ꦓন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় জোর দেওয়া হয়। (চিনকে) জানানো হয়েছে যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনওরকম একতরফা পরিবর্তন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুতের ক্ষেত্রে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় সম্পূর্ণ শান্তি এবং সুস্থিতি ফিরিয়ে আনা এবং বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।' সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক এগিয়ে আনার বিষয়েও একমত হয়েছে নয়াদিল্লি এবং বেজিং।
গত বছর মে'তে পূর্ব লাদাখ সীমান্ত বরাবর ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। মুখোমুখি অবতীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় এবং চিনা সেনার সংঘর্ষ হয়েছিল। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান মারা গিয়েছিলেন। চিনের তরফে যথারীতি হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ 𝔍করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই সংখ্যাটা ৪৫-এর কম নয়। পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্যাংগং লেকের উত্তর এবং দক্ষিণ সীমান্ত থেকে সেনা পিছনে সরিয়ে নেয় ভারত এবং চিন। সেইসঙ্গে প্রথম থেকেই ভারত স্পষ্ট জানিয়ে আসছে, সার্বিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত শান্তি ফেরাতে হবে।
তারইমধ্যে গত মাসে নয়াদিল্লির তরফ💞ে আবা♊রও সীমান্তে উত্তেজনার জন্য চিনকে দায়ী করা হয়। কাতার অর্থনৈতিক ফোরামের মধ্যে জয়শংকর জানিয়েছিলেন, সীমান্তে চিনা সেনা মোতায়েন এবং সৈন্য কমানোর নিয়ে বেজিং যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাকে ঘিরে অনিশ্চয়তার ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। মূলত লাদাখ-সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় এখনও সেনা মোতায়েন করে যাচ্ছে চিন। যদিও নয়াদিল্লির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের আগ্রাসী তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল বেজিং। চিনা চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘কিছুটা সময় ধরেই সীমান্ত বরাবর সৈন্যের সংখ্যা বাড়াচ্ছে ভারত এবং চিনা ভূখণ্ডে জবরদখল চালিয়ে যাচ্ছে। সীমান্ত বরাবর উত্তেজনা তৈরি হওয়ার এটাই মূল কারণ। আমরা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চাই না। আমাদের মতে, দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে সীমান্তের সমস্যাকে জুড়ে দেওয়া উচিত নয়।’