দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে পড়ার ফলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তিন পড়ুয়ার। এই পড়ুয়ারা সকলেই আইএএস পরীক্ষার জন্য ওই সেন্টারে কোচিং নিচ্ছিলেন। কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে থাকা লাইব্রেরিতে পড়ার সময় শনিবার সন্ধা꧅য় বৃষ্টির জল ঢুকতে শুরু করে। সেখানে বাকি পড়ুয়ারা বেরিয়ে গেলেও তিন জন বেরিয়ে আসতে পারেননি। ফলে জলে ডুবে মৃত্যু হয় ওই তিন জনের। মৃত পড়ুয়াদের নাম হল তানিয়া সোনি (২৫), শ্রেয়া যাদব (২৫) এবং নেভিন দালউইন (২৮)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত দিল্লি রাজেন্দ্রনগর। শনিবার থেকেই বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। আর সেই বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে পড়ুয়াদের প্রতি আবেগঘন আবেদন করলেন দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শচীন শর্মা।
আরও পড়ুন: ‘আইন মানেনি’ IAS কোচিং সেন্টার, কীভাবে ডুবে যান ৩ জন? বেঁচে♐ ফꦛিরেও কাঁপছেন পড়ুয়া
অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তিনজন মারা গিয়েছেন। আমরা কোনও কিছু গোপন করছি না। আমরা আপনাদের আশ্বাস দিচ্ছি আইনিভাবে যা করা সম্ভব তা আমরা করব। তদন্ত চলছে। আমি আপনাদের বিষয়টা বুঝতে পারছি। কারণ আমিও আপনাদেরই অংশ। একসময় আপনাদের ম💮তোই ছিলাম। আপনারা কী অনুভব করছেন তা আমি ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। কারণ আমিও একই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ভাববেন না যে আমি উর্দি পড়ে আছে বলে কিছু অনুভব করছি না। আমিও অনেক কিছু অনুভব করছি। কিন্তু, আমারও কিছু দায়িত্ব আছে। আমি আশা করি আপনারাও খুব শীঘ্রই এই দায়িত্বগুলি পেয়ে যাবেন।’
উল্লেখ্য, যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছেಞ তারা কেরল, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা একটি ফ🐎ৌজদারি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এছাড়াই অন্যান্য তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, ঘটনার পরে দিল্লির বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা সরব হয়েছেন। তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দিল্লি পুরসভার দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত। কেন ড্রেন পরিষ্কার করা হয়নি? তারও তদন্ত হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, শনিবার একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে দিল্লির একাধিক জায়গায় জল জমতে দেখা যায়। কোথাও হাঁটু জল তো কোথাও কোমর জল জমে। সেই জল ওই ইউপিএসসি কোচিং সেন্টরের বেসমেন্টে ঢোকে। শনিবার কোচিং সেন্টারে পড়তে গিয়েছিলেন ৩০ থেকে ৩৫ জন পড়ুয়া। আচমকা বৃষ্টির জল ঢুকতে শুরু করে বেসমেন্টে। সেই সময় অনেকেই উপরে উঠে আসতে পারলেও তিনজন উঠে আসতে পারেননি। জানা গিয়ꦦেছে, কোচিং সেন্টারের গভীরতা ৯ ফুট। বৃষ্টিতে পুরোটাই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, খুব দ্রুত জল ঢুকে পড়েছিল বেসমেন্টে। সেই কারণে তারা বের হতে পারেননি। এরপর একে একে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।