বিগত ১৫ দিনে ভারত জুড়ে ৪০০টি বিমানে বোমা থাকার ভুয়ো হুমকি দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরই মাঝে আবার ৩১ অক্টোবর অবসর নেবেন ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের বর্তমান ডিরেক্টর জেনারেল জুলফিকর হাসান। তবে এখনও পর্যন্ত সরকার নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করল না। যেখানে প্রতিদিনই পালা করে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বার্তা আসছে, সেখানে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের ডিজি নিয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। (আরও পড়ুন: 🧸পরপর পিছনে ধাক্কা! স্কুটারকে পাশ দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়)
আরও পড়ুন: 💝পরপর ছুটি সরকারি কর্মীদের, তবে ধনতেরাসে কি বন্ধ ব্যাঙ্ক? মুহূরত ট্রেডিং কবে?
উল্লেখ্য, গত ১০ মাস ধরেই ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের যুগ্ম ডিরেক্টর পদটি ফাঁকা পড়ে আছে। এই আবহে কোনও কারণে যদি ডিরেক্টর জেনারেল পদে নিয়োগে বিলম্ব হয়, তাহলে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের কাজ কে সামলাবেন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হতেই পারে। প্রসঙ্গত, ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের এই পদগুলিতে সাধারণত আইপিএস অফিসারদেরই বসানো হয়। এর আগে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শেষ জয়েন্ট ডিরেক্টর জয়দীপ প্রসাদকে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের এডিজি করে বদলি করাহ হয়েছিল। তারপর থেকেই আর কাউকেই ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের যুগ্ম ডিরেক্টর পদেও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। (আরও পড়ুন: ༒LAC থেকে সেনা সরানোর কাজ প্রায় শেষ, চিন কথা রেখেছে কি না, জানবে কীভাবে ভারত?)
আরও পড়ুন: 💫লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণ, কামরায় লাগল আগুন, আতঙ্কিত যাত্রীদের ঝাঁপ চলন্ত ট্রেন থেকে
আরও পড়ুন: 💜মধ্যরাতে আতশবাজি বিস্ফোরণে দুর্ঘটনা মন্দিরে, আহত ১৫০, ৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক
🐼 এদিকে ২৮ অক্টোবর নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার অন্তত সাতটি বিমানে সোমবার বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। ওই সাতটি বিমানের মধ্যে পাঁচটি ছিল ইন্ডিগো উড়ান সংস্থার। বাকি দু’টি ভিস্তারার। অবশ্য পরে জানা যায়, সবকটি হুমকি ভুয়ো ছিল। তবে হুমকি বার্তা আতেই বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘আই ওয়ান্না স্লিট ইওর থ্রোট’ নামক এক প্রোফাইল থেকে এই সব হুমকি বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়ে গত ১৫ দিনে দেশব্যাপী ৪০০টিরও বেশি বিমানে ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মাঝে কলকাতা বিমানবন্দরকে হাইড্রোজেন বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই সব হুমকির জেরে উড়ান সংস্থাগুলির কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। কারণ কোনও বিমান এমন হুমকি পেলেই হয় তার যাত্রাপথ বদল করে জরুরি অবতরণ করা হচ্ছে, বা উড়ান বিলম্বিত হচ্ছে। ভুয়ো বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ভাবনা চিন্তাও করছে কেন্দ্র। তবে এত কিছুর মাঝে ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শীর্ষ পদে আধিকারিক নিয়োগে সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।