সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে বিন্দুমাত্র কসুর করলেন না বাংলাদেশের বꦕ্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তানকে মীরপুর টেস্টেꦓ ফলো-অন করিয়ে অনায়াসে ম্যাচ জেতার হাতছানি ছিল লিটন দাসদের সামনে। তবে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রান সংগ্রহ করার সুযোগটাকে হাতছাড়া করেননি তাঁরা।
মীরপুরের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া শতরান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোমিনুল হক। নাজমুল তো টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত ব্যক্তিগত নজির গড়েন। প্রথম ইনিংসে ২৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্ꦺযে ১৭৫ বলে ১৪৬ রান করে মꦏাঠ ছাড়েন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫১ বলে ১২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
প্রথম ইনিংসে𝓡 ১৫ রানে আউট হওয়া মোমিনুল হক দ্বিতীয় ইনিংসে ১২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৫ বলে ১২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ১২ নম্বর শতরান। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের হয়ে সব থেকে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন মোমিনুলই।
লিটন দাস প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯ রান করে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ꧑ইনিংসে তিনি অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮১ বলে ৬ꦐ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশ দলনায়ক। এছাড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওপেনার জাকির হাসান। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৫ বলে ৭১ রান করে আউট হন।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৪২৫ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের ২৩৬ রানের খামতি মিলিয়ে জয়ের জ🐬ন্য আফগানিস্তানের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৬৬২ রানের।
বিরাট রানের♛ বোঝা ঘাড়ে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। তারা তৃতীয় দিনের শেষে ১১ ওভার ব্যাট করে ২ উইকেটের বি🌱নিময়ে ৪৫ রান সংগ্রহ করে। সুতরাং, জিততে শেষ ২ দিনে আফগানদের দরকার আরও ৬১৭ রান। জিততে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮টি উইকেট।
আরও পড়ুন:- 'একজন বিশ্বমানেꦗর ক্যাপ্টেনের মুখ থেকে এমন কথা মানা যায় না', সৌরভের উপর চটলেনඣ বাট
উল্লেখ্য, মীরপুরে টস হেরে শুরুতে ব্যাট🉐 করে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান তোলে। নাজমুলের শতরান ছাড়া মাহমুদুল হাসান জয় ১৩৭ বলে ৭৬ রান করে মাঠ ছাড়েন। মুশফিকুর রহিম ৭৬ বলে ৪৭ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন। ৮০ বলে ৪৮ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। আফগানিস্তান꧒ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৭৯ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট দখল করেন নিজাত মাসুদ।
পালটা ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ১৪৬ রান তুলে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায়। আফসর জাজাই দলের꧋ হয়ে সব থেকে বেশি ৩৬ রান করেন। এছাড়া নাসির জামাল ৩৫ ও করিম জানাত ২৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন এবাদত হোসেন। ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন শোরিফুল ইসলাম, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসাﷺন মিরাজ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।