রবিবারের মিনি ডার্বি ছিল নেহাৎ-ই জৌলুসহীন। শুধুমাত্র নামেই ছিল এটি ডার্বি। আদতে ১১ বনাম ১৩ নম্বর দলের লড়াই ছিল। আর হিসাব মতো সেই লড়াইয়ে যে ফলাফল কাঙ্খিত ছিল, তেমনটাই হয়েছে। মহমেডানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এতে লিগ টেবলে🤡র লাস্টবয় মহমেডান আরও তলানিতে গিয়েছে ঠিকই, ম্যাচ জিতেও ইস্টবেঙ্গলের আহামরি কোনও লাভ হয়নি। তারা পয়েন্ট টেবলের সেই ১১ নম্বরেই রয়ে গিয়েছে। তবে অঙ্কের জটিল হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের সুপার সিক্সে যাওয়ার ক্ষীণ আশা রয়েছে। তবে সেই অঙ্ক বড় জটিল।
আগের ম্যাচে (৮ ফেব্রুয়ারি) চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে হেরে সুপার সিক্সের আশা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের। তাই মহমেডানের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সেই অর্থে আলাদা করে কোনও মোটিভেশন ছিল না ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ারদের। কিন্তু দলের কোচ অস্কার ব্রুজো বলেছিলেন, এই ম্যাচটি তাঁদের কাছে সম্মান রক্ষার লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে লেটার মার্কস নিয়েই উতরে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সব আশা কার্যত শেষ হওয়ার পর যেন জ্বলে উঠল ইস্টবেঙ্গল। তবে বড় বেশি🌌 দেরী করে ফেলল তারা। ২০টি ম্যাচ খেলে এবারের লিগে ইস্টবেঙ্গলের এটি ষষ্ঠ জয়। মহমেডানের জয়ের সংখ্যা দুই। এদিন যুবভারতীতে লাল-হলুদ জার্সিতে গোল করলেন নওরেম মহেশ, সাউল ক্রেসপো এবং ডেভিড লালনসাঙ্গা। মহমেডানের হয়ে একটি মাত্র গোল করেন কার্লোস ফ্র্যাঙ্কা।
আরও পড়ুন: ওড়িশা ম্যাচ 🐻খেলতে নামার আগেই লিগশিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে মোহনবাগান, কোন অঙ্কে?
এই ম্যাচ জয়ের পর ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ২০ ম্যাচে ২১। বাকি রয়েছে চার ম্যাচ। এই চারটি ম্যাচ যদি লাল-হলুদ জেতে, তবে তারা সর্বোচ্চ ৩৩ পয়েন্টে যেতে পারে। আর চারে থাকা নর্থইস্ট ইউনাইটেডের পয়েন্ট এখন ৩২ (২১ ম্যাচ), যথাক্রমে পাঁচ এবং ছয়ে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি এবং মুম্বই সিটির পয়েন্ট ৩১। দুই দলই ২০টি করে ম্যাচ খেলেছে। ওড়িশা রয়েছে সাতে। তাদের ২১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট। আট থেকে দশে থাকা কেরালা ব্লাস্টার্স (২০ ম্যাচে ২৪), পঞ্জাব এফসি (২০ ম্যাচে ২৪), চেন্নাই🍃য়িন এফসিও (২১ ম্যাচে ২৪) এগিয়ে লাল-হলুদের চেয়ে। এদের সবাইকে টপকে সুপার সিক্সে জায়গা করে নেওয়াটা ব্রুজোর দলের কাছে অসম🍷্ভব বৈকি! কারণ প্রত্যেকেরই তিন-চারটি করে ম্যাচ বাকি রয়েছে। তবু কথাতেই আছে, যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশ!
আরও পড়ুন: খেলার মাঠ নাকি꧙ যুদ্ধক্ষেত্র, ফুটবল মাঠে বন্দুক প্রদর্শন, পুলিশ হেফাজতে পাঁচ দুষ্কৃতি
এই ম্যাচে শুরু থেকেই মহমেডানের তুলনায় আক্রমণের মেজাজে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ২৬ মিনিটে প্রথম গোলের মুখ খোলেন নওরেম মহেশ। বিষ্ণুর টাচ থেকে অসাধারণ একটি গোল। বিরতিতে ১-০ এগিয়েছিল লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধে মহমেডান শুরুর দিকে সেভাবে আক্রমণ করতে পারেনি। উল্টে নিজেদের রক্ষণের ভুলে আরও একটি গোল হজম করে বসে তারা। ৬৫ মিনিটে সাউল ক্রেসপো ইস্টবেঙ্গলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। গোল কিক থেকে ডিফেন্ডার মাফেলাকে বল দিয়েছিলেন গোলরক্ষক পদম। কিন্তু বল নিজের পায়ে রাখতেই পারেনꦓনি মাফেলা। সেই বল প🔜েয়ে যান মেসি বাউলি। তাঁর বাড়ানো পাস থেকে দলকে ২-০ এগিয়ে দিয়েছিলেন সাউল ক্রেসপো।
আরও পড়ুন: মহমেডানের কোচের দেখা নেই, আদৌ ফিরবেন চের্নিশভ?
দ্বিতীয় গোল হজম করার পর কিছু নড়েচড়ে বসে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৬৮ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের রাকিপকে ঘাড়ে নিয়ে ফ্রাঙ্কার গোলে কিছুটা হলেও তারা ব্যবধান কমায়। তবে ম্যাচের ৮৮ মিনিটে মহমেডানের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ডেভিড লালনসাঙ্গা। তবে পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল 🧸করার কারণে সেভাবে সেলিব্রেট করেননি তিনি। তবে মিনি ডার্বিতে ৩-১ জিতে ইস্টবেঙ্গল মাঠ ছাড়ায় সেলিব্রেশনের কিছুটা সুযোগ পেয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।