অলিম্পিক্সে সোনা জেতেন স্ত্রী! প্যারালিম্পিক্সে জিতলেন স্বামী! উডহল দম্পতির হাত ধরে ‘ভালোবাসা’ জিতল…

প্যারিসে প্যারালিম্পিক্সে গিয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে উডহল দম্পতির। প্যারালিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েছেন হান্টার উডহল। আগে প্যারিসে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ অলিম্পিক্সে সোনা জিতে ছিলেন স্ত্রী, তার পথ অনুসরণ করেই এবার প্যারালিম্পিক্সে সোনা জিতলেন স্বামী হান্টারও। বিশ্বজয়ের স্বাদ পাওয়ার পরই একে অপরকে আলিঙ্গন করে নিলেন দুজনে, করলেন স্নেহের চুম্বন। স্বপ্নপূরণের মঞ্চটাকে স্মরণীয় করে রাখতে। কয়েক সপ্তাহ আগে প্যারিস অলিম্পিক্সের মঞ্চে হাইজাম্পে সোনা জয়ের পর গ্যালারিতে থাকা বান্ধবিকে জড়িয়ে ধরেছিলেন পোল ভল্টার আর্মান্দো দুপ্লান্তিস। বিশ্বজয়ের পর ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছা কারই না থাকে। আর ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকবে বিশ্বজয় করতেও যে কোনও বাধাই আর বড় হতে পারে না, সেটাই প্রমাণ করে দিলেন উডহল দম্পতি। আরও পড়ুন-৮ উইকেট মানবের,উইনিং রান অভিষেকের ব্য়াটে! দলীপ ট্রফিতে KKR অধিনায়কের দলকে সহজেই হারাল রুতুরাজের টিম…প্যারিসে আসার আগেই একে অপরকে কথা দিয়েছিলেন ব্রোঞ্জ বা রৌপ্যতে সন্তুষ্ট থাকা নয়, সোনা জিতেই ফিরবেন। হাতে হাত রেখে করেছিলেন শপথ। একে অপরের পাশে থেকে সেটাই করে দেখালেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হান্টার এবং তারা। আগে অলিম্পিক্সের আসরে প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী নিজে সোনা জিতেছিলেন লং জাম্পার তারা উডহল। প্যারালিম্পিক্সে স্প্রিন্টে জিতলেন হান্টার। ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন এই তারকা দম্পতি।আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে হাড়ভাঙা খাটুনি রোহিতের! দেখে মনে হবে না বয়স ৩৭!পুরুষদের টি৬২ ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতলেন হান্টার উডহল। তিন বছর আগে জিতেছিলেন তিনি ব্রোঞ্জ। প্যারিসে সোনা জয়ের পরই স্ত্রী তারার কাছে ছুটে যান এই মার্কিন প্যারালিম্পিয়ান স্প্রিন্টার, করেন অলিঙ্গন। এরপর তিনি বললেন, ‘এটা অনেকটা আকাশের তারা খোঁজার মতো, আর বড় বড় লক্ষ্য তৈরি করে সেই স্বপ্নপূরণ করার মতো। আমরা যখন বলেছিলাম দুজনেই সোনা জিততে চাই, তখন অনেকে আমাদের পাগল ভেবেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটাই আমরা করে দেখাতে পারলাম ’। পাল্টা প্যারিস অলিম্পিক্সে লং জাম্পে সোনা জেতা তারা উডহল বলছেন, ‘আমার মুখের কথাটাই ও ছিনিয়ে নিল। আমাদের এই বছরের টার্গেটের মধ্যে লেখা ছিল একটা অলিম্পিক্সে সোনার পদক আর একটা প্যারালিম্পিক্সে সোনার পদক। সেই লক্ষ্যপূরণে আমরা এক মূহূর্তের জন্যেও বিলম্বিত করিনি বা থেমে থাকিনি। এটা আমাদের জীবনের এক অসাধারণ যাত্রা ছিল’।আরও পড়ুন-‘আমি যাতে অভুক্ত না থাকি, তাই ও দুবেলা খেত না’! প্যারালিম্পিক্সে পদক জিতে স্ত্রীকে উৎসর্গ হোকাতো সেমার…জন্ম থেকে পায়ের গোড়ালিতে সমস্যা ছিল হান্টারের। এরপর ১১ মাস বয়সেই তাঁর দুই পায়ের শক্তি ক্ষয় হয়ে যায়। প্যারালিম্পিক্সের আগে হান্টারের অনুশীলনে নতুন মাত্রা এনেছিলেন তারা। তিনিও হান্টারের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে দৌড়াতেন, যাতে ওর গতি আরও বৃদ্ধি পায়। গত বছর প্যারা চ্যাম্পিয়নশিপের আগে হান্টারের প্রসথেটিক লেগ অর্থাৎ কৃত্রিম পা ভেঙে যাওয়ার পর তিনি মন খারাপ করে বসেছিলেন। তবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী, মনের জোর দিয়েছিলেন। সেই হান্টার এবং তারা এবার নিজেদের স্বপ্নপূরণের কাহিনি লিখলেন প্যারিসে।