শেষ ক🍬য়েকমাসে বেশ কয়েকবারই চিনের সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে মাসিমো কনস্টানটিনির কাছে সাক্ষাৎকারের সময় চাওয়া হয়েছে। মুল কারণ একটাই, ভারতীয় টেবিল টেনিস খেলয়াড়দেল লাগাতার লং পিম্পেল রাবার ব্যাট দিয়ে খেলা। ঠিক কি কারণে ভারতীয় খেলোয়াড়রা এই রবার ব্যবহার করছে, তা জানতে আগ্রহী চিনের প্যাডলাররা। সাম্প্রতি সময় দেখা গেছে অনেক চিনের খেলোয়াড়ই ভারতীয়দের কাছে হেরে গেছে, যাদের ব্যাটের পিছন দিকে একধরণের অভিনব র💜বার থাকে।
আরও পড়ুন-ফর্ম্যাট বদলের সঙ্গে সঙ্ꦛগ𓄧েই ফর্মে ফিরবেন রোহিত-বিরাট! আশায় প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ
গত বছর বিশ্ব টিম চ্যাম্পিয়ন্সিপে ঐতিকা মুখোপাধ্যায় হারিয়ღে দিয়েছিলেন তখনকার বিশ্বের ১ নম্বর সুন ইংসা এবং শ্রীজা আকুলা হারান ওয়াং ইদিকে। এরপর বড় ধাক্কা খায় চিন, আর সেদিন থেকে আরও বেশি করে চর্চায় উঠে আসে সেই ব্যাট। আসলে সেই ব্যাটে বিপরিত স্পিন এফেক্ট আসে খেলার সময়, অর্থাৎ কেউ যদি টপ স্পিনে বল পাঠায় তাহলে যেই খেলোয়াড় এই রবারের ব্যাট ব্যবহার করছে, তে অটোমেটিকভাবেই বলটা ব্যাপক স্পিনের ফেরত পাঠাতে পারবে। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের উল্টো স্পিনে জবাব দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন-‘ব্যালন ডি অরের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই! আমিই সবথেকে𓄧…’ মেসিকে খোঁচা রোনাল্ডোর?
ভারতীয়দের মোকাবিলা করার জন্যই চিন এবার পিম্পল রবারের ওপর অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাঁরা এমন পার্টনারদের বিরুদ্ধে খেলছে যারা এই ধরণে বিশেষ রবারের🦩 ব্যাটে খেলে, যাতে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যায়। অর্থাৎ ওই ধরণের রবারের ব্যাটের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে পারা যায়। কন্টানটিনি বলছেন, ‘বর্তমানে এটি খুবই প্যাসিভভাবে ব্যবহার করা হয়। অনেক মহিলা খেলোয়াড় রয়েছে যারা এই রবার ছোট থেকেই ব্যবহার করে, কিন্তু খেলায় উন্নতি করে না। তাঁদের আরও কাজ করতে হবে স্পিড, লেন্থ, প্লেসমেন্টের বিষয়ে ’।
আরও পড়ুন-‘আজকে আমরা রেফারি কিনতে পারিনি’, বাগান𝔍 সচিবಌের খোঁচা লালহলুদকে! ISLর সূচিতেও অখুশি
শরথ কমল বলেন, ‘এটা মূলত ডিফেন্সিভ রবার, কিন্তু মানসিকভাবে ডিফেন্সিভ হবে চলবে না। যখন ছোটরা এই ধরণের রবার ব্যবহার করে তবে প্রতিপক্ষের ভুল হয়, কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাটাকিংও করতে হবে। যেমন শ্রীজা-মনিকারা করে। ওরা এই রবার ব্যবহার করেও আগ্রাসী 🎉খেলে, তাই তাঁদের পারফরমেন্🎉স ভালো ’।
২০১৮ সালে এই রবারের ব্যাটে প্রথম সাফল্য পান মনিকা বাত্রা, তিনি সেই সময়ের বিশ্বের চার নম্বর ফেং তিয়াওয়েইকে হারিয়ে কমনওয়েল্থ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। এর আগে নেহা আগরওয়াল শর্মাও ২০০৮ সালের অলিম্পিক্সে এই ব্যাট ব্যবহার করেন। নেহা বলছিলেন, ‘আমি যখন এই ব্যাট ব্যবহার শুরু করি তখন আমার বয়স ছিল সাত। তখন ভ🐓ারতে কেই এই ব্যাট ব্যবহার করত না, তাই নিজেকে একটু অদ্ভূত লাগত। আর আমার খেলার স্টাইলও আলাদা ছিল। ’।
শ্রীজা আকুলা বলছিলেন, ‘যখন ছোটরা খেলা শুরু করে তখন তাঁদের ব্যাক হ্যান্ড দুর্বল থাকে বলে লং পিম্পল রবার ব্যবহার করতে বলা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যখন প্রতিপক্ষ অনেক আগ্রাসী, তখন এই ধরণের রবার ব্যবহার করে ম্যাচ জেতা কঠিন। তাই আরও বৈচিত্র যেমন আনতে হবে,💜 তেমনই অনেক বেশি উন্নতিও করতে হবে খেলার। সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষও যেহেতু তৈরি হচ্ছে, তাই ভালো ব্যাকহ্যান্ড থাকতে হবে, শুধু ব্যাটের ভরসায় থাকলে চলবে না ’।
ব্যাটে বলে এখন অবশ্য আগের মতো গতি নেই, কারণ টেবিলের সঙ্গে বলের মানও সামান্য পড়েছে। ফলে আগের মতো দ্রুত খেলা এখন হয় না। তাই প্রাক্তনীদের মতে আগামী ১০-১৫ বছর পর আꦕর এই রবারের দ্বারা উপকৃত হবেন না খেলোয়াড়রা। কারণ এই রবারের আলাদা কোনও বৈচিত্র ন𝔉েই যা উন্নতি করা সম্ভব। কিন্তু খেলোয়াড়রা নিজেদের উন্নতি করেই চলেছে।
চিনের অনেকে ✨অবশ্য ১৯৮০-১৯৯০র দশকে লং পিম্পল রবার ব্যাটেই খেলত। যেমন দেং ইয়াপিং ৯টি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ গোল্ড মেডেল এবং চারটি অল💎িম্পিক্স গোল্ড মেডেল জিতেছিলেন এই ধরণের ব্যাট খেলেই। সেই দেংকেই কয়েক মাস আগে চিন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের অলিম্পিক্সের আগে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এর অন্যতম কারণই খেলোয়াড়দের লং পিম্পল ব্যাটের বিরুদ্ধে সড়গড় করে তোলা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।