হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে লেখা ‘ক্রিকেটের ভগবান এমএস ধোনি’। ক্রিকেট খেলতে নামেন একটাই লক্ষ্য নিয়ে, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো ছক্কা মারবেন বলে। আসলে নাগাল্যান্ডের কিরণ নভগিরকে অনুপ্রাণিত করে ২০১১ বিশ্বꦚকাপ ফাইনালে ধোনির ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানো।
গত সিনিয়র ওমেনস টি-২০ টুর্নামেন্টে ব♈্যাট হাতে এমন তাণ্ডব চালান নভগির, যার পরে তাঁকে ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জের আঙিনায় জায়গা করে দেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না। মেয়েদের মিনি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্যাট-বল করার সুযোগ হয়নি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমবার ব্যাট হাতে মাঠে নামেন কিরণ। ট্রেলব্লেজার্সের বিরুদ্ধে যে রকম আগুনে ইনিংস খেলেন নভগির, জাতীয় নির্বাচকরা ভারতীয় দল গড়ে নিতে বসে অবধারিতভাবে তাঁর নাম বিবেচনা করবেন।
পুণেতে ট্রেলব্লেজার্সের বিরদ্ধে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নভগির। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটাই সব থেকে কম বলে হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ড। তিনি𒁃 ভেঙে দেন শেফালি বর্মার রেকর্ড। সুপারনোভাসের বিরুদ্ধে গত ম্যাচেই শেফালি ৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
তার আগে ওমেনস টি-২০ চ্যালেঞ্জে দ্রুততম হাফ-সেঞ𝔍্চুরির রেকর্ড ছিল জেমিমা রডরিগেজের। ২০১৯ সালে ভেলোসিটির বিরুদ্ধে জেমিমা ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিরণ শেষমেশ ৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৬৯ রানের আগুনে ইন🌞িংস খেলে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন:෴- ঠিক যেন ক্রিস গেইল, চার-ছক্কার সুনামিতে একাই ১৬২ করলেন নভগির
নভগির গত সিনিয়র ওমেনস টি-২০ টুর্নামেন্টে ৩৫টি ছক্কা মারেন। যতদিনের রেকর্ড নথিবদ্ধ রয়েছে, মেয়েদের কোনও টুর্নামেন্টে এত ছক্কা বিশ্বের আর কোথাও কেউ মারেননি। তিনি টুর্নামেন্টে চার মারেন ৫৪টি। টুর্নামেন্🍌টে মোট ৫২৫ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
সিনিয়র ওমেনস টি-২০ ট্রফিতেই ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টি-২০ ইনিংসে ১৫০ রানের গণ্ডি টপকে সর্বকা♏লীন রেকর্ড গড়েন নভগির। অরুণাচলের বিরুদ্ধে ৭৬ বলে ১৬২ রানের🎃 অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন কিরণ। সেই ইনিংসে নভগির ১০টি চার ও ১৬টি ছক্কা মারেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।