মহাবিশ্ব অনন্ত। এর কতটুকুরই বা সাক্ষী মানবজাতি! সুবিশাল এবং কল্পনাতীত মহাকাশ হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। কল্পনা থেকেই কিন্তু সৌরজগতের বাইরে প্রাণের খোঁজের সূত্রপাত। সেই খোঁজে বেশ কয়েকটি এমন গ্রহের সন্ধান মিলেছে, যেখানে প্রাণের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও থাকতে পারে। আমাদেরই মতো একাধিক গ্রহের সন্ধান মিলেছে। আর সেই তালিকায় নবতম হল GJ 1252 b। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটি একটি 'সুপার-আর্থ', যার পৃষ্ঠের তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে, তা নিমেষে সোনার মতো ধাতু গলিয়ে দেবে। আরও পড়ুন: Pillars of Creation: 'সৃষ্টির স্তম♍্ভে'র ছবি তুলল James Webb, ফের মুগ্ধ মানবজাতি
সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীর আকারের এই পাথুরে এক্সোপ্ল্যানেট এতটাই উত্তপ্ত যে এর কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গৌণ গ্রহণ চলাকালীন এই গ্রহের ইনফ্রারেড বিকিরণ পরিমাপ করা হয়। অর্থাত্ গ্রহটি সেই সময়ে তার নক্ষত্রের পিছনে চলে গিয়েছিল। আর সেই পরিমাপের ফলাফলই ছিল অবাক করার মতো। গবেষকরা দেখেন, GJ 1252-র দিনের তাপমাত্রা ছিল ১,২২৮ ডিগ্🌌রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা গ্রহের পৃষ্ঠে সোনা, রূপা এবং তামা গলিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
GJ 1252 b একটি পাথুরে, টেরিস্ট্রিয়াল এক্সোপ্ল্যানেট। ২০২০ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। এটি পৃথিবীর চেয়ে বেশ বড়। এর ব্যাসার্ধ আমাদের নীল গ্রহের তুলনায় ১.১৮ গুণ বেশি। জ্বলন্ত এই এক্সোপ্ল্যানেটটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৫ আলোকবর্ষ দূরে। আমাদের পৃথিবী-সূর্যের দূরত্বের তুলনায় এটি তার নক্ষত্রের অনেক কাছাকাছি অবস্থিত। GJ 1252 b-র এক পাশকে 'ডেসাইড' বলে অভিহিত করা হয়েছে। এটি স্থায়ীভাবে তারার দিকে মুখ করে থাকে। এই অবস্থানকেই বিপুল তাপমাত্রার কারণ হিসাবে ব্যাখা করছেন বিজ্ঞানীরা। আরও পড়ুন: NASA's Dart Altered Orbit of Asteroid: মহাꦆকাশে অনন্য কীর্তি মানবজাতির, গ্রহাণুর কক্ষপথ বদলে সফল ‘ডার্ট’, জানাল NASA
বায়ুমণ্ডলীয় মডেলের সঙ্গে এই গ্রহের আনুমানিক তাপমাত্রার তুলনা করে দেখা যাচ্ছে যে, এর পৃষ্ঠের চাপ সম্ভবত ১০ বারের(bar) কম। অত্যন্ত উচ্চ তাপᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚমাত্রা এবং নিম্ন পৃষ্ঠ চাপের কারণে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, GJ 1252 b -র কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। সেটি হলে, এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে ছোট এক্সোপ্ল্যানেট যার বায়ুমণ্ডলের বিষয়ে এতটা সুনির্দিষ্ট ধারণা করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।