শুধুমাত্র একটা ক্লিক, সময়ের আগেই দরজার পৌঁছে যাচ্ছে পছন্দের তাজা খাবার। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি ঠেলে যেতে হচ্ছে না বাইরে। হাতের মুঠোয় বড় সুযোগ ধরে দিচ্ছে দ🐠েশের একাধিক খাবার ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলো। এর দরুণ গ্রাহক সেবা তো হচ্ছে, বিজনেসও হচ্ছেই, কিন্তু আসল চাপে পড়ছেন কর্🔯মচারীরা। বেঙ্গালুরুতে নতুন স্টার্টআপ ১০ মিনিটে খাবার ডেলিভারির প্রতিশ্রুতি দিয়েই কথা শুনতে হচ্ছে কোম্পানিকে।
আরও পড়ুন: (মহিলা ইন্টার্নদཧের সঙ্গে এতটাই🎃 ফ্লার্ট করতেন Bill Gates, তাদের জন্য বিশেষ নিয়ম করেছিল Microsoft)
বিতর্কের সূত্রপাত কোথায়
বেঙ্গালুরুর মতো শহরের ব্যস্ত রাস্তায় ১০ মিনিটে তাজা খাবার পৌঁছে দেওয়া মানে, যথেষ্ট চাপের ব্যাপার। তাই এমন নিয়মের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইশ, ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ, জে♋পটো-র মতো প্ল্যাটফর্মগুলো এমনিতেই অল্প সময়ের মধ্যে মু🔴দি বাজার সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যথেষ্ট আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, এমনই পরিস্থিতিতে এবার কয়েক মিনিটের মধ্যে গ্রাহকের কাছে খাবার বানিয়ে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে।
কী বলছেন সুইশের মালিক
সুইশ সহ-প্রতিষ্ঠাতা উজ্জ্বল সুখেজা এই ফুড ডেলি♓ভারি অ্যাপটি তৈরির পিছনে নিজেদের চিন্তাভাবনার কথা শেয়ার করার জন্য এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন। উজ্জ্বল সুখেজার পোস্ট অনুসারে, যখন অনলাইনে খাবার সরবরাহের কথা আসে, তখন অপেক্ষাটি বেশ দীর্ঘ হতে পারে। আমরা বুঝ❀তে পেরেছি যে এই সমস্যাটি আমাদের মতো অনেক যুবকের জন্য সাধারণ। সুতরাং, তাঁদের জন্য, আমরা সুইশ তৈরি করছি। দর্শনি থেকে দোসা, এইচএসআর-এ, আপনি দ্রুত যে কোনও পছন্দের খাবার পেতে পারেন। অর্থাৎ এই অ্যাপটির পরিষেবা বেঙ্গালুরুর আইটি হাব এইচএসআর লেআউটেই সক্রিয় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Shubhangshu Shuklaচেয়েছিলেন আই🧔এএস হোক ছেলে, এখন যাচ্ছে মহাকাশে, কী বলছেন শুভাংဣশুর বাবা)
কী প্রতিক্রিয়া সম্ভাব্য গ্রাহকদের
প্রতিষ্ঠাতারা বেঙ্গালুরুতে হাজার হাজার মানুষের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। নেটিজেনদের এক অংশের দাবি, যতদূর মনে হচ্ছে, এর অর্থ হল অনেক আগে থেকে তৈরি/সঞ্চিত খাবার/হিমায়িত খাবার ডেলিভারি এবং যাঁরা ডেলিভারি করবেন, তাঁদের শোষণ করার জন্য উন্নত চিন্তাভাবনার মেলবন্ধন এটি। যদি ♉আমরা এতটাই ক্ষুধার্ত হই যে আমার ১০ মিনিটের মধ্যে খাবারের প্রয়োজন হয়, আমি হয় রান্না করব অথবা কাছাকাছি কোনও দোকান/স্ট্রিট ফুড স্টলে/টেকআউটে যাব। একজনের দাবি, আমি কখনই এই জাতীয় ꧑প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্ডার করব না। কারণ দুই-তিন মিনিটের মধ্যে স্বাস্থ্যকর কিছু রান্না করা যায় না। কেউ কেউ আবার বলছেন, অন্য কোন দেশে এমন ১০ মিনিটের মধ্যে খাবার ডেলিভারি হতে দেখেছেন। এ তো শ্রম শোষণ ছাড়া অন্য কিছু নয়।
উল্লেখ্য, যদিও বেশ কয়েকজন গ্রাহক ছিলেন, যাঁ🐓রা ইতিবাচকভাবে দেখেছিলেন এই অ্যাপটির ১০ মিনিটে পরিষেবা দেওয়ার ধরনটি। অনেকেই ডেলি﷽ভারি অ্যাপটি ব্যবহার করে মুগ্ধ হয়েছেন। ইতিমধ্যে, সুইশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল এমন গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে, যাঁদের কাছে ১০ মিনিটের পরিবর্তে ১৫ মিনিটের মধ্যে খাবার পৌঁছেছিল।
প্রসঙ্গত, ভারতে এই মুহূর্তে দু'টি অনলাইন খাদ্য সরবরাহের প্ল্যাটফর্ম রাজত্ব চালাচ্ছে। সুইগি এবং জোম্যাটো৷ মুদি বাজারের জন্য আবার সুইগি ইনস্টামার্টের এবং ব্লিঙ্কিটের সার্ভিসও এখন জনপ🌜্রিয়।