♔ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে বের হয়ে স্পেসওয়াক করলেন মহাকাশচারী সুলতান আল-নেয়াদি। আর এর মাধ্যমেই ইতিহাসে স্থান করে নিলেন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর প্রথম 'স্পেসওয়াকার' হলেন আল-নেয়াদি।
𒁃ISS-এর ট্রাস স্ট্রাকচারের স্টারবোর্ডের পাশে মহাকাশের শূন্যতায় প্রা ৭.০১ ঘণ্টা জুড়ে এই মিশন ছিল। এই মিশনের দুই মূল উদ্দেশ্যই সফল হয়।
NASA ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার স্টিফেন বোয়েনের সঙ্গে সুলতান আল-নেয়াদি এই 'এক্সট্রাভেহিকুলার অ্যাক্টিভিটি', অর্থাত্ যানের বাইরের কাজ গ্রহণ করেছিলেন। এর একটি উদ্দেশ্য ছিল, রাউটিং পাওয়ার কেবিলের সঙ্গে জড়িত একাধিক প্রস্তুতিমূলক কাজ সারা। সেটি সফলভাবেই করেন তাঁরা। আরও পড়ুন: সবচেয়ে দূরের ৪ ছায়াপথের সন্ধান দিল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ, তৈরি ১৩০০ কোটি বছর আগে
♚এই তারের কাজগুলি আসলে স্পেস স্টেশনের চতুর্থ রোল-আউট সোলার অ্যারের স্থাপনের জন্যই করা হচ্ছে। এই সোলার অ্যারেগুলি শীঘ্রই পরের স্পেসএক্স ড্রাগন কার্গো মিশনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অপর উদ্দেশ্য ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি গ্রুপ (RFG) ইউনিটের রিস্টোরেশন করা।
♏এই কমিউনেকশন অ্যান্টেনা, বা RFG সরানোতে কিছুটা অসুবিধা রয়েছে। আর সেই কারণেই আপাতত এটি স্পেস স্টেশনে সংযুক্ত থাকবে।
🤡স্পেসওয়াক শুরুর আগে, সুলতান আল-নেয়াদি এবং বোয়েন তাঁদের শরীর থেকে নাইট্রোজেন নির্মূল করার জন্য প্রায় দুই ঘণ্টার অক্সিজেন শোধন করেছিলেন।
💎এর পরে, ওয়ারেন হোবার্গ এবং ফ্রাঙ্ক রুবিও মহাকাশচারীদের তাঁদের স্পেসসুট পরে নিতে সাহায্য করেন। স্পেসস্যুট পরা কিন্তু কোনও মুখের কথা নয়। একটি স্পেস স্যুটই মহাকাশের কঠিন পরিস্থিতিতে নভোশ্চরদের রক্ষাকবচ। ফলে সেটি সঠিকভাবে পরিধান করাটাই একটি বড় অপারেশন বলা যেতে পারে।
❀এরপর বের হওয়ার হ্যাচ খোলার আগে ধীরে ধীরে স্পেস স্টেশনের এই নির্দিষ্ট, এয়ারলক করা অংশের চাপ কমানো শুরু হয়। পুরোটা সম্পন্ন হলে খুলে যায় মহাশূন্যে প্রবেশের দরজা।
𝔍স্পেসওয়াকের আগে, মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মমাফিক পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপ করা হয়েছিল। ISS-এর বাইরে মহাকাশ হন্টনের ক্ষেত্রে সুলতান আল-নেয়াদি এবং বোয়েনের মূলত দু'টি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এক হল বিকিরণ। অপরটি চরম তাপমাত্রা।
মহাকাশযানের চারপাশের পরিবেশ সূর্যের প্রভাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই জল ফুটতে শুরু করে। সেখানে ১২০ ডিগ্রি মানে কতটা গরম, তা সহজেই অনুমেয়। আবার ধরুন সূর্য পৃথিবীর আড়ালে চলে গেল। স্পেস স্টেশন ছায়ার মধ্যে পড়ছে। সেই সময়ে তাপমাত্রা নেমে -১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। আরও পড়ুন: Starship: অসফল উড়ান! মাঝ আকাশেই ধ্বংস হল SpaceX-এর তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম রকেট