সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুতে সন্তানের চাকরি পাওয়া বংশগত অধিকার নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের Updated: 26 Aug 2023, 11:20 PM IST Sritama Mitra Share কর্মরত অবস্থায় সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুতে সন্তানের চাকরি পাওয়া বংশগত অধিকার নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। 1/5সরকারি কর্মচারীর মৃত্যু কর্মরত অবস্থায় হলে তাঁর পরিবার বা সন্তান সেই সরকারি চাকরির দাবি করতে পারেন না। অর্থাৎ, কোর্ট বলছে, কর্মরত থাকাকালীন সরকারী কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার বা সন্তান ওই কর্মীর চাকরির দাবি করতে পারেন না। সদ্য এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে একটি মামলা হাইকোর্টে ওঠে। তার প্রেক্ষিতেই এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছে কোর্ট। ছবি সৌজন্য : পিটিআই 2/5বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলা ওঠে। সম্প্রতি টার্জন ঘোষ নামে এক ব্যক্তি তাঁর বাবার মৃত্যুর পর সেই সরকারি চাকরির দাবিতে আদাবতের দ্বারস্থ হন। তাঁর মামলা হাইকোর্টে এলে, কোর্ট জানায়, এই ধরনের চাকরিতে কমপ্যাসনেট অ্যাপয়েন্ট-ভিত্তিক যে মেধা, তা কার্যকর হয়না যদি না উপযুক্ত প্রয়োজন থাকে। ফলে টার্জন ঘোষের আবেদন খারিজ হয়। উল্লেখ্য, তাঁর বাবা ছিলেন সরকারি কর্মচারী। 3/5হাইকোর্ট বলছে, এই ধরনের চাকরি কোনও বংশগত অধিকার নয়, তা সহানুভূতি। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে টার্জন ঘোষের বাবার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন সরকারি কর্মচারি। ২০০৯ সালে তিনি সেই চাকরির আবেদন করেন। দেখা যায়, মামলাকারী টার্জন ঘোষের বাবার বয়স মৃত্যুর সময় ৫০ পার হয়ে গিয়েছে। আর আর উত্তরাধিকারীদের বয়স তখন ১৮ পার হয়েছে। কোর্টের প্রশ্ন, চাকরির আবেদনে কেন ২ বছর দেরি করেছিল ওই পরিবার? এছাড়াও যেহেতেু উত্তারাধিকারীরা সেই সময় প্রাপ্ত বয়স্ক তাই তাঁদের তখন স্বাবলম্বী বলে ধরা হচ্ছে। প্রতীকী ছবি 4/5প্রসঙ্গত, কম্প্যাশনেট হল, কর্মরত অবস্থায় কোনও সরকারি কর্মচারির মৃত্যু হলে, তাঁর উপর নির্ভরশীল যাঁরা অর্থাৎ পরিবার বা সন্তান, ওই চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে তা করতে হবে ১ বছরের মধ্যে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্য সিদ্ধান্ত নেবে। এক্ষেত্রে রাজ্য ,কেন্দ্র ও বিভিন্ন পেশাভিত্তিক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে Pixabay) 5/5কমপ্যাশনে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ বলছে, মৃত্যুর ফলে পরিবারের কতটা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রাথমিকভাবে যাচাই করতে হবে। যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর আয় পরিবারের আয়ের ৪০ শতাংশের কম কি না তাও বিচার্য। শীর্ষ আদালতও বলছে, এই চাকরি কোনও বংশগত অধিকার নয়। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, কর্মীর মত্যুতে পরিবারের আর্থিক ক্ষতি কতটা হয়েছে, সেটেই এক্ষেত্রে বিচার্য। পুরো গ্যালারিটির জন্য এই বিজ্ঞাপনটি দেখতে হবে পরবর্তী ফটো গ্যালারি