সব তীর্থ বার বার আর গঙ্গাসাগর একবার। এটা শুধু ক🌟থার কথা এমনটা নয়। অনেকে বলেন বহুকাল ধরেই 🔥গঙ্গাসাগর যাওয়ার হ্যাপা অনেকে। সবথেকে বড় কথা মুড়িগঙ্গা নদী পার হওয়া। সাধারণ সময়ে একবার ভেসেল চলে গেলে সেই দীর্ঘ অপেক্ষা ছাড়া আর কোনও পথ থাকে না।
এদিকে এবারই গঙ্গাসাগর মেলার উদ্বোধনে গিয়ে মুড়িগঙ্গার উপর সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে সেটা শুধু যে শুকনো প্রতিশ্রুতি ছিল না তার একটা বডꦿ় প্রমাণ এবার রাজ্য বাজেটে।
এবার গঙ্গাসাগরে সেতু তৈরির জন্য বিরাট বরাদ্দ রাজ্য বাজেট𓃲ে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন রাজ্যের তরফে এই সেতু তৈরির জন্য় ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ♛ করা হয়েছে।
কোথায় হবে এই গঙ্গাসাগর সেতু?
৩.৩ কিমি দীর্ঘ মুড়িগঙ্গা নদী। সেখানে বিদ্যুৎ দফতরের যে টাওয়ার রয়েছে তার দক্ষিণ দিক থেকে হবে এই সেতু তৈরির কাজ। প্রায় ৫ কিমি দীর্ঘ হবে এই সেতু। চার💦 লেনের রাস্তা হবে। ৪০০ মিটার দীর্ঘ অ্য়াপ্র🐲োচ রোড হবে।
কাকদ্বীপের দিকে লট নম্বর আট থেকে গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এই সেতু। মুড়িগঙ্গা নদীর উপর হবে এই সেতু। এই সেতু তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণ🅺ের কাজ অনেকটাই হয়েছে। কচুবেড়িয়ার দিকে কিছু চাষের জ𒁃মি রয়েছে। আর লট নম্বর আটের দিকে রয়েছে কিছু বসতি জমি। তবে গঙ্গাসাগরে সেতু তৈরি নিয়ে সাধারণ মানুষের আবেগ এতটাই যে অনেকেই স্বেচ্ছায় জমি দিতে চেয়েছেন।
কবে এই সেতুর কাজ শেষ হতে পারে?
মোটামুটি এই সেতুর কাজ শেষ হতে বছর তিনেক সময় লেগে যেতে পারে। চ🔥লতি বছরের মাঝামাঝি থে🧜কে এই সেতু তৈরির কাজ শুরু হতে পারে।
এই সেতু তৈরি হলে উপকার কী হবে?
প্রতি বছর হাজার হা🌞জার পূণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে আসেন। কিন্তু তাঁরা সরাসরি রেল বা সড়ক পথে গঙ্গাসাগরে যেতে পারেন না। কারণ সবথেকে বড় অন্তরায় হল মুড়িগঙ্গা নদী। মুড়িগঙ্গা নদী ভেসেল দিয়ে পার হতে হয়। ভোর থেকে ভেসেল চলে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলার সময় বিকাল ৪টের পরে ভেসেল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে ভেসেলেও সীমিত সংখ্যক লোকজনকে নিয়ে পার হতে হয়। এবার সেতু তৈরি হলে শুধু পূণ্যার্থী নয়, স্থানীয় বাসিন্দারাও অত্যন্ত উপকৃত হবেন।