ফের বিতর্কে জড়ালেন মালদার তৃণমূল জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি। বিরোধীদের দাঁত ভেঙে দেওয়া ও জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয🐎়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে দেখা গিয়েছে সবুজ ঝড়। তৃণমূলের কার্যালয়ে সেই জয় জয় উদযাপনের সময় দলী🐻য় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। এনিয়ে পালটা তাঁকে আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ‘বিরোধী দলের নেত🧸াদের গণপিটুনি দেওয়া হবে’, মালদায় হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের
তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বিরোধীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়ে ৬টা আসনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দিয়েছেন।’ সিপিএম এবং অন্যান্য বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এরপর জেলা সভাপতি বলেন, ‘এখানে যে বিরোধীরা আছে তাদের বলে দিতে চাই, নির্লজ্জ সিপিএম একটা আসনে নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। তাদেরকে হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই যদি পুনরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ দিয়ে কোনও কুশব্দ কেউ বের করে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলার চেষ্টা করে সেই মুখের ৩২টা দাঁত ভেঙে✤ দেব। জিভ ছিঁড়ে ফেলে দেব। এটা জেনে রাখ বিরোধী বন্ধুরা।’ ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট নিয়ে রহিম আরও বলেন, ‘মালদায় লোকসভায় দুটো আসন আমরা হেরেছি। তবে আগামী বিধানসভায় মালদায় ১২টা আসনই মানুষ আমাদের উপহার দেবে।’
এনিয়ে আব্দুর রহিম বক্সির তীব্র সমালোচনা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, আসলে আব্দুর রহিম অশিক্ষিতের মতো কথাবার্তা বলছেন। তিনি কখনও বলছেন দাঁত ভেঙে দেবেন অথবা বিরোধীদের বাড়ি থেকে বের😼 হতে দেবেন না। তিনি মাঝেমধ্যে এরকম বলেন। তিনি আগে পুলিশ নিরাপত্তা ছাড়া বাইরে বেরিয়ে এসব কথা বলে দেখান, তাহলে বোঝা যাবে তিনি কত বড় বাঘ, মাস্তান। তিনি শুধু বাংলার ফল দেখছেন। সারা ভারতে যে উপনির্বাচনের ফল হয়েছে সেটা একটু দেখুন তারপরে এসব কথা বলুন।
সিপিএম নেতৃত্বও আব্দুর রহিম বক্সির তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের বক্তব্য, এসব ফাঁকা বুলি। তিনি মাঝেমধ্যে এরকম বলেন। গণতন্ত্রে সরকারপক্ষ যেমন থাকে বিরোধীরা❀ও সেরকম থাকবে। গণতন্ত্রে বিরোধীরা সরকারের সমালোচনা করবে এটাই নিয়ম। এটা বিরোধীদের দায়িত্ব। আর সরকারের দায়িত্ব হল বিরোধীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। কিন্তু, আব্দুর রহিম বক্সি বিরোধীদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। আসলে তিনি গণতন্ত্র বোঝেন না রাজনৈতিকভাবে অশিক্ষিত একজন দলবদলু নেতা। তাকে সকলেই ⛦ভালো করে চেনেন। নতুন করে সার্টিফিকেট দেওয়ার দরকার নেই।