জাতীয় মহিলা কমিশন এবং জাতীয় তফশিলি কমিশনের পর এবার সন্দেশখালিতে জাতীয় আদিবাসী কমিশন। আজ আদিবাসী কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্ত নায়েকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন। উল্লেখ্য, বুধবারই সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিল জাতীয় আদিবাসী কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে তিনদিনের মধ্যে এই নিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছিল কমিশনের তরফ থেকে। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছিল, সন্দেশখালির এক আদিবাসী মহিলা এবং এক আইনজীবীর থেকে তারা অভিযোগ পেয়েছিলেন। সেই মর্মে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর তাই সন্দেশখালি নিয়ে বিশদ রিপোর্ট তলব করা হয় ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের থেকে। (আরও পড়ুন: জবাবদিহি 🎶চেয়েছিলেন ফিরহাদ, এবার তৃ💧ণমূল কাউন্সিলর অনন্যার বিরুদ্ধে দায়ের FIR)
আরও পড়ুন: BJP শাসিত রাজ্যে কয়েক কꦑোট🔯ির 'দুর্নীতি', CAG রিপোর্টকে হাতিয়ার করে তোপ তৃণমূলের
এদিকে আজ সন্দেশখালির উদ্দেশে যাওয়ার আগে জাতীয় আদিবাসী কমিশনের প্রধান অনন্ত নায়েক বলেন, 'কমিশন সন্দেশখালী থেকে অভিযোগ পেয়েছে। একই প্রেক্ষাপটে আমরা সেখানে যাচ্ছি। এই ধরনের অভিযোগ পেলে ডিজিপি এবং মুখ্য সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করটা কমিশনের নিয়ম। আমরা তাদের তিনদিন সময় দিয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বাস্তবতা খতিয়ে দেখব। আমরা অভিযোগকারীর সাথে দেখা করতে যাচ্ছি। আমরা আমাদের গ্রাউন্ড রিপোর্ট এবং প্রশাসনের রিপোর্ট দু'টোকেই মিলিয়ে দেখে এরপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।' এদিকে গতকালকের পাঠানো নোটিশে আদিবাসী কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তিন দিনের মধ্যে ওই রিপোর্ট হাতে না এলে ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবকে সশরীরে দিল্লিতে কমিশনে🔴র হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধর, হুম🤪কি, অত্যাচার, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল শাহজাহান বাহিনী। পরবর্তীতে উত্তম এবং শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শাহজাহান এখনও অধরা। এই আবহে বুধবার সন্দেশখালিতে রাত্রিবাস করেন ডিজিপি। পরে আজ ভোরেই কলকাতা ফিরলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব কুমার। আজ ফেরার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজীব কুমার দাবি করেন, যারা যারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছিলেন, তাদের সবার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। ডিজিপি রাজীব কুমার আজ বলেন, 'যারা যারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছে, তাদের সবার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এখানকার মানুষের যা যা অভিযোগ আছে... জমি বেদখল সহ যা যা অভিযোগ আছে, সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যান্য যা যা অভিযোগ আছে, তাও শোনা হচ্ছে। আমি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সন্দেশখালির বাসিন্দাদের উদ্দেশে বার্তা দিতে চাই, তারা যেন পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করেন। যার যার যা যা অভিযোগ সব শোনা হবে। যে যে আইন ভেঙেছে, সবার বিরুদ্ধে পুলিশ পদক্ষেপ করবে।'