🐷 এক তৃণমূল কর্মী তথা পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ওই কিশোরীর দাবি, শুধুমাত্র লাউড স্পিকার বাজানোর প্রতিবাদ করাতেই নাকি ধারাল অস্ত্র নিয়ে তার দিকে তেড়ে আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনার জেরে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে দাবি পরিবারের। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
🍒সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, 'আক্রান্ত' ওই মাধ্যমিক ছাত্রীর নাম তসলিমা খাতুন। সে কোচবিহারের কোচবিহারের দিনহাটার ওকড়াবাড়ির কাউরাই এলাকার বাসিন্দা।
๊তসলিমার অভিযোগ, শনিবার রাতে হঠাৎ তাদের বাড়ির পাশে তীব্র স্বরে লাউড স্পিকারের আওয়াজ শোনা যায়। খোঁজ নিতে জানা যায়, ওই লাউড স্পিকার বাজাচ্ছেন পিঙ্কু খোন্দকর নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। শুধু তাই নয়, পিঙ্কু স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম সদস্যও বটে।
༒এমন একজনের এহেন আচরণে কিছুটা অবাকই হয় তসলিমা। যদিও পরে সে পিঙ্কুকে বলে, মাধ্যমিক চলছে। এত জোরে লাউড স্পিকার বাজানো হলে পড়াশোনার অসুবিধা হয়। তাই তা বন্ধ করা উচিত। প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় কোনও অনুষ্ঠান বা কর্মসূচিও ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের তরফে দাবি করা হচ্ছে। তাহলে কেন পিঙ্কু হঠাৎ করে মাইক বা লাউড স্পিকার বাজাতে শুরু করলেন, সেটা স্পষ্ট নয়।
𓄧এদিকে, তসলিমা এর প্রতিবাদ করায় পিঙ্কু ক্ষেপে যান। প্রথমে দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর একটা সময় হঠাৎই পিঙ্কু ধারাল অস্ত্র নিয়ে তসলিমাকে তাড়া করেন বলে অভিযোগ। তিনি নাকি তসলিমাকে কোপ মারারও চেষ্টা করেন। কিন্তু, ছাত্রীর চিৎকার শুনে তার পরিবারের বাকি সদস্যরা সেখানে পৌঁছে যাওয়ায় পিছু হঠতে বাধ্য হন পিঙ্কু।
🏅এই ঘটনায় মারাত্মক ভয় পেয়ে যায় তসলিমা। পরে তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনায় শীঘ্রই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন।
✱এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়েছে। ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।
𝄹প্রসঙ্গত, এর আগে ভাঙড়ে কীর্তনের আসরে এক নাবালিকা তথা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি, তার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার এবং তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল এলাকারই এক তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। যার জেরে শাসকদলের ওই সদস্যকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।