রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীত বা টেট দুর্নীতিতে এবার নাম জড়াল প্রাক্তন বিধায়ক তথা মন্ত্রী এবং বাঁকুড়া জেলা ⛦প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা💦র। যদিও তাঁর দাবি, পুরোটাই আসলে রাজনৈতিক চক্রান্ত। বিধানসভা নির্বাচন আসছে বলেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, তিনি একজন তফসিলি নেতা।
শ্যামলকে নিয়ে বিতর্কের কারণ কী? টেট দুর্নীতির তদন্তের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাদের হাতে ৩২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নামের একটি তালিকা এসেছে। অভিযোগ ꦕহল, এঁরা কেউই যোগ্য প্রার্থী নন। চাকরি হাসিল করেছেন কোনও রাজনৈতিক নেতানেত্রী অথবা কোনও প্রভাবশালীর সুপারিশের মাধ্যমে। দাবি করা হচ্ছে, এই ৩২৪ জনের মধ্যে ২২ জনের চাকরি পাওয়ার পিছনে নাকি শ্যামল সাঁতরার হাতযশ কাজ ক𒆙রেছে!
বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি সমাজমাধ্যমেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের তরফে তৈরি করা একটি তালিকা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাꦚল মিডিয়ায়। তাতে দেখা গিয়েছে, দিব্যেন্দু অধিকারী, ভারতী ঘোষ, মমতাবালা ঠাকুর, শওকত মোল্লাদের সঙ্গেই নাম রয়েছে শ্যামল সাঁতরাও। তিনি যে ২২ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি করে দিয়েছিলেন, তেমনটাও ওই তালিকায় দাবি করা হয়েছে।
খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। সিপিআই(এম💯)-এর বাঁকুড়া জেলার সম্পাদক দেবলিনা হেমব্রমকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নেতামন্ত্রীদের কাছে চাকরিপ্রার্থীরা সুপারিশ জানানোর জন্য দরবার করতেই পারে। কিন্তু, তার অর্থ এই নয় যে অযোগ্য প্রার্থীদের টাকার ✃বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে। এমনটা হয়ে থাকলে, সেটা অন্য়ায়।
বামেদের বক্তব্য, সত্যি♐ই যদি নিয়োগ দুর্নীতিতে নিরপেক্ষ তদন্ত হয়, তাহলে অনেক চাঞ্চল্যকর সত্যই সামনে আসবে।
আরও একধাপ এগিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার বলেন, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়েছিল কিনা, সেটা শ্যামল সাঁতরার তদন্তকারীদের জানিয়ে দেওয়া 💞উচিত। আর, তা হয়ে থাকলে সেই টাকা কালীঘাট পর্যন্ত গিয়েছিল, নাকি ক্যামাক স্ট্রিট পর্যন্ত, তাও শ্যামলের জানানো উচিত বলে কটাক্ষ করেন সুভাষ।
অন্যদিকে শ্যামল সাঁতরা নিজে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেছে তফসিলি তৃণমূল নেতাদের নিশানা করা হচ🉐্ছে। যাতে তাঁদের দমন করে তৃণমূল কংগ্রেসের তফসিলি ভোটব্যাঙ্কে🥀 ধস নামানো যায়। এক্ষেত্রে তিনি মূলত বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন।