আজ, শনিবার ইডি–সিবিআইকে নিয়ে বিস্ফোরক টুইট করেছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়। এক্স–হ্যান্ডেলে তথাগত ইডি–সিবিআইয়ের কাজ দেখে বিজেপি এবং তৃণমূলের সেটিংয়ের কথা অনেকে মনে করছেন বলে উল্লেখ করেছেন। আর তা নিয়ে আজ রাজ্য–রাজনীতিতে তোলপা♏ড় হয়ে গিয়েছে। ইডি–সিবিআই এখন কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনা খাচ্ছে। তথ্যপ্রমাণ তুলে দিতে পারছেন না। এইসব নিয়েই একটা টুইট করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা।
এদিকে দু’দিন আ♕গে কলকাতা হাইকোর্টে উপযুক্ত প্রমাণ দিতে না পারায় রক্ষাকবচ পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই এই টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইডি–সিবিআই যেভাবে তদন্ত করতে গিয়ে ধরাশায়ী হচ্ছে তাতে অন্যান্য বিজেপি নেতা–কর্মীদের উপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করেন তথাগত রায়। এমনকী অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও তাঁর মত। এই নানা মত তিনি আজ তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, আসলে তথাগত রায় ঠিক কি বলতে চাইছেন?
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজ নিয়ে একবার প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তারপর তাঁকে ঢোঁক গিলতে হয়েছিল। আবার পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা তথা তমল♒ুকের সহ–সভাপতি প্রলয় পাল দল ছাড়বেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ইডি–সিবিআই এখন কলকাতা হাইকোর্টে রোজ ধমক খাচ্ছেন। খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নালিশ জানাবেন এই অফিসারদের কাজকর্ম নিয়ে। মানুষকে বোকা বানাতে নিষেধ করে তাঁর মত, সিবিআই শুনলে এখন মানুষ হাসে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি জামিন পেয়েছেন। তারপরই তথাগতর এমন পোস্ট শোরগোল ফেলেছে।
আরও পড়ুন: 💝চারু মার্কেটে রাস্তার উপর ভেঙে পড়ল বাড়ি, জখম হলেন পথচার🎉ী, তোলপাড় কাণ্ড
ঠিক কী লিখেছেন তথাগত? বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় আজ একটি বিস্ফোরক টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ইডি–সিবিআই তদন্তের নামে যে পা ধরে টানাটানি করছে তাতে সত্যিকারের বিজেপি কর্মীরা মনে করছেন যে, এখানে তৃণমূল–বিজেপির সেটিং আছে। সংগঠনের দিক থেকে এমনিতেই পরিস্থিতি নড়বড়ে। আর তার জেরে বিজেপি নেতা–কর্মীরা নিগৃহীত হচ্๊ছেন। একটু দেখুন।’ এই টুইটটি আবার তিনি যুক্ত করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন🅘্ত্রী অমিত শাহকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই সেটিং তত্ত্ব তুলে ধরায় চাপ বাড়তে পারে বিজেপির উপর বলে অনেকে মনে করছেন।