সামনেই উৎসবের মরসুম। তার আগে🌟ই এক লাফে চিকেনের দাম বেড়ে গেল অনেকটাই। গত এক সপ্তাহে মুর𝓡গির মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। কলকাতা থেকে জেলা কাটা মুরগির দাম সর্বত্রই প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা পেরিয়েছে। গোটা মুরগির দামও অনেকটাই বেড়েছে। যেহেতু সামনেই রয়েছে বড়দিনের উৎসব ও নববর্ষ, এছাড়া এখন বিয়ের মরসুম চলছে এই সমস্ত কারণে মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই বিক্রেতারা জানাচ্ছেন। আগামী কয়েকদিন মুরগির মাংসের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুরগির꧅ মাংসের দামে নাভিশ্বাস ൲উঠছে মধ্যবিত্তের, কলকাতায় কত টাকায় কিনতে হচ্ছে?
এদিকে, বাংলায় মুরগির দাম বাড়লেও ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে মহা কার্তিক উৎসবের কারণে মুরগির দাম কমেছে। কারণ সেখানে এই উৎসবে মানুষজন নিরামিষ খান। তবে বিয়ে এবং আসন্ন উৎসবে বাংলায় চিকেনের💯 চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাংলায় গত একসপ্তাহের মধ🐻্যে দাম একলাফে অনেটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও ক্রেতাদের আশা মুরগির দাম কমবে তবে বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, বড়দিন এবং নববর্ষ, পিকনিক এবং অন্যান্য উৎসবগুলির কারণে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। ফলে এখনই মুরগির দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
গত সপ্তাহে অসংখ্য বিবাহ হয়েছে তারপর সপ্তাহান্তে রিসেপশন পার্টি হয়েছে। চাহিদার এই বৃদ্ধির কারণে কলকাতার বাজারে কাটা মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ২৩০–২৪০ টাকা হয়েছে। ল্যান্সডাউন বাজারের পোল্ট্রি সরবরাহকারী বিনোদ শা জানান, বিবাহ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের জন্য ৫০০০ মুরগি সরবরাহ করেছিলেন। ফলে আসন্ন উৎসবের মরসুমে চ🅠াহিদা আরও বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বাজার পর্যবেক্ষকরা পূর্বাভাস দিয়েছেন, কাটা মুরগির দাম শীঘ্রই ২৫০ টাকা এবং তার উপরে চলে যেতে পারে। গত 💎শুক্রবার থেকে ক্রমাগত বাড়ছে মুরগির দাম। উমেশ পাসওয়ান ভবানীপুরের এক মুরগি বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন মুরগির মাংসের দাম ৫ থেকে ৮টাকা করে বাড়ছে। তিনি বলেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ দাম ৩০০টাকা ছুঁতে পারে৷
সপ্তাহ খানেক আগেই গোটা মুরগির দাম ১০০ টাকার নিচে নেমে গিয়েছিল। যার ফলে কাটা মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। মহা কার্তিক উৎসবের সময় ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ থেকে মুরগিরꦜ সরবরাহের জন্য প্রাথমিক দাম কমেছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ফেডারেশনের সেক্রেটারি মদন মাইতি জানান, ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় বাংলায় মুরগির সরবরাহ বেড়েছিল। এরফলে দাম কমেছিল। এখন বাজার স্থিতিশীল হওয়ায় দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।