কদিন আগের কথা। তখন গ্রামবাংলার বানভাসী পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে দাঁড়িয়েই খবর পেয়েছিলেন বাড়ির দালান বানের জলে ভেসে গিয়েছে। আদি গঙ্গায় বান চলে এলেই প্লাবিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবন থেকে শুরু করে বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর। ওই পরিস্থিতিতে একদিকে গ্রামবাংলার দুর্🔯গত মানুষদের নিয়ে চিন্তা করছিলেন। অপর দিকে নিজের বাড়ির সদস্যদের নিয়েও চিন্তা করেন। আর সেটা জানতে পারেন মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর তাই এবার এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে নতুন বন্দোবস্ত করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। আজ, বুধবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আগামী দু’বছরের মধ্যেই কালীঘাট, চেতলা এলাকায় আদিগঙ্গায় বানের জেরে যে প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয় সেটা আর থাকবে না। তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মেয়র। এই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আর দু’বছর পর আদিগঙ্গায় আর ষাঁড়াষাঁড়ির বান আসবে না। কারণ আমরা সেখানে একটি টা🥂কা বরাদ্দ করেছি। যা দিয়ে একটি লকগেট তৈরি করা হবে। যখন এই ষাঁড়াষাঁড়ির বান আদিগঙ্গায় আসবে, তখন এই লকগেট ফেলে দিলে প্লাবন ঠেকানো যাবে। তার ফলে🌺 আমরা বানের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’ অর্থাৎ এই লকগেট তৈরি হলে একদিকে বাঁচবে কালীঘাট অপরদিকে রক্ষা পাবেন ভবানীপুরের মানুষজন।
আরও পড়ুন: ‘আমি কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’, ডিভিসি–রাজ্য বিতর্কে হুঁশিয়ারি অধীরের
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই নতুন লকগেট তৈরি হবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্র হেস্টিংসের কাছে দহিঘাটে। আর ওখান থেকে আদিগঙ্গার ষাঁড়াষাঁড়ির বানকে আটকানো হবে। ফলে বানভাไসী পরিস্থিতি তৈরি হবে না। তিন–চারদিন আগে ষাঁড়াষাঁড়ির বানে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। একই সঙ্গে জলমগ্ন হয়েছিল, কলকাতা পুরসভার ৭৩, ৭৪, ৮২ এবং ৮৩ নম্বর ওয়ার্ড। দীর্ঘদিন ধরে এই ষাঁড়াষাঁড়ির বানের জেরে জলমগ্ন অবস্থা মেনে নিতে হয়েছে এলাকার মানুষজনকে। তাই এই লকগেট চালু হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের ষাঁড়াষাঁড়ির বানের সমস্যা সম্পূর্ণ মিটে যাবে বলে মনে করছেন পুরসভার অফিসাররা।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ডিভিসি–কে দুষেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার লকগেট ঘোষণার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে মেয়র বলেন, ‘আদিগঙ্গার পারের দেখভাল করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। এই এলাকাগুলি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন। তাই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দূর করতে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আমরা কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বহুবার কথা বলে আবেদন জানালেও কোꦰনও সমাধান হয়নি। তাই দায়িত্ব নিয়েই কলকাতা পুরসভা কাজটি করবে।’