নয়াদিল্লির নির্ভয়া কাণ্ড থেকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা। বারবার এই দেশে উঠে এসেছে নারীদের উপর যৌন অত্যাচারের খবর। উত্তরপ্রদেশ–সহ অনেক রাজ্যেই 🐻এমন ঘটনা সংবাদ শিরোনামে জায়গা করেছে। তাই রেলে সফররত মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কয়েক বছর আগে নির্ভয়া তহবিলের টাকায় নানা জোনে লোকাল ট্রেনের মহিলা কামরায় সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করেছিল রেল। যদিও সেই কাজ বিশেষ এগোয়নি। কিন্তু লোকাল ট্রেনে নানা সুরক্ষাকবচ যোগ করার বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই ছিল।
এদিকে লোকাল ট্রেনে মহিলা কামরায় সিসি ক্যামেরা বসানো এবং ‘টক ব্যাক’ সুবিধার উপর বিশেষ জোর দেও๊য়া হয়েছিল। তাই চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরির তৈরি নয়া রেকগুলিতে নানা আধুনিক বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে। শিয়ালদা শাখায় এই বৈশিষ্ট্যের রেক এখন পরিষেবা দꦗিতে শুরু করেছে বলে খবর। এবার হাওড়া শাখাতেও সেগুলির ব্যবহার শুরু হয়েছে। ১২ কোচের নতুন রেক। আর তাতে প্রত্যেকটি কামরায় একাধিক সিসি ক্যামেরা আছে। যার ছবি চালক তাঁর কেবিনে বসেই মনিটরে দেখতে পাবেন। এমনকী মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষায় আছে ‘টক ব্যাক’ প্রযুক্তি। যাতে বিপদে পড়লে মহিলা যাত্রীরা চালক বা গার্ডের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারবেন।
আরও পড়ুন: নির্যাতিতার পরিবারকে কি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল? নতুন তত্ত্ব খাঁড়া করলেন কুণাল ঘোষ
ট্রেনের মধ্যে মহিলাদের উপরও অনেক ধরণের ঘটনা ঘটে। তখন যাতে অসুবিধা না হয় তাই 🐈এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই নয়া রেকগুলিতে ক্যামেরার আরও একটি কাজ আছে। সেটি হল—প্যান্টোগ্রাফ বা ওভারহেড কেবলের তারে সমস্যা যাতে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। থাকছে। চালকের কেবিনে যেমন ক্যামেরা থাকছে তেমন ট্রেনের সামনে ও পাশেও ক্যামেরা থাকছে। নতুন এই রেকগুলিতে কামরায় বসার আসন করা হয়েছে ইস্পাতের। যাতে ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আঘাত সহ্য করতে পারে। আর রিজেনারেটিভ প্রযুক্তির ব্রেকিং ব্যবস্থায় ব্রেক কষতে বাড়তি শক্তি প্রয়োগ করতে হয় না। জরুরি বার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে চালকের কেবিনে প্যাসেঞ্জার অ্যাড্রেস সিস🅰্টেম থাকছে।